১৫ অগস্টের মধ্যে করোনার টিকা বানাতে হবে। ইন্ডিয়ান কাউন্সিল অফ মেডিক্যাল রিসার্চের (আইসিএমআর) এমন তুঘলকি ফরমান নিয়ে হইহই পড়ে গিয়েছে। এই ডেডলাইন অবাস্তব বলে উড়িয়ে দিয়েছেন অধিকাংশ বিশেষজ্ঞ। এবার তড়িঘড়ি সাফাই দিল আইসিএমআর। সারা দুনিয়ায় যেমন দ্রুত ভ্যাকসিনের কাজ হচ্ছে, সেভাবে ভারতেও কাজ করার কথাই তারা বলতে চেয়েছে, দাবি আইসিএমআরের। কোনও নিয়ম পালনে অনথ্যা করা হবে না বলেও জানিয়েছে সংস্থা।
আইসিএমআর জানিয়েছে প্রাথমিক ফলাফল দেখে তারা ভারত বায়োটেকের টিকাটি প্রস্তুত করার ক্ষেত্রে সাহায্য করছে। প্রি ক্লিনিকাল ট্রায়ালের ডেটা দেখে স্টেজ ওয়ান ও স্টেজ টু-এর ছাড়পত্র মিলেছে।
সারা বিশ্বে যেমন ক্লিনিকাল ট্রায়ালের প্রক্রিয়াকে ত্বরান্বিত করা হচ্ছে, সেই ভাবেই আইসিএমআর এগোচ্ছ বলে সংস্থার দাবি। অকারণে লাল ফিতের গেরোয় যাতে অনুমোদন প্রক্রিয়াটি আটকে না যায়, সেটা নিশ্চিত করতেই ১২ টি টেস্টিং প্রতিষ্ঠানকে চিঠি লেখা হয়েছিল বলে আইসিএমআরের দাবি। কিন্তু এর জন্য প্রয়োজনীয় কোনও প্রক্রিয়া বাদ দেওয়া হবে না, এটাও সাফ করে দিয়েছে স্বাস্থ্যমন্ত্রকের অধীন এই সংস্থা। সেফটি, কোয়ালিটি, এথিকস মানা হবে বলে তাদের দাবি।
ট্রায়ালে বেস্ট প্র্যাকটিস ফলো করা হবে ও সেটার যথাযথ রিভিউ করা হবে বলেও আশ্বাস দিয়েছে আইসিএমআর। যেভাবে সমালোচিত হয়েছে আইসিএমআর দ্রুত ট্রায়াল করার বিষয়, সেটি নিয়েও বক্তব্য পেশ করেছে সংস্থা। তাদের মত সমালোচনা কাম্য, কিন্তু ভারতের সেরা গবেষক ও মেডিক্যাল পেশাদারদের নিয়ম মানা নিয়ে প্রশ্ন করা চলে না।
মানুষের স্বার্থ ও নিরাপত্তা রক্ষা করা আইসিএমআরের মূল কাজ বলেও জানিয়েছে সংস্থা। দিন দুয়েক আগে ১২টি প্রতিষ্ঠানকে আইসিএমআর চিঠি লিখে বলে যে যাবতীয় ছাড়পত্র ৭ জুলাইয়ের মধ্যে দিয়ে দাও যাতে ট্রায়াল শুরু হয়।কথা না শুনলে সেটা খারাপ হবে, কার্যত হুঁশিয়ারিও দিয়েছিল আইসিএমআর। ১৫ অগস্টের মধ্যে টিকা প্রস্তুত করতে হবে এই আব্দার করলেও শনিবারের স্পষ্টীকরণে অবশ্য কোনও ডেডলাইন দেওয়া নেই।
প্রায় সব বিশেষজ্ঞ এখনও পর্যন্ত জানিয়েছে যে টিকা তৈরী হতে বছরভর লাগবে। সেখানে আদৌ এত দ্রুত ভারতীয় সংস্থা প্রতিষেধক প্রস্তুত করতে পারে কিনা, সেদিকেই নজর থাকবে সবার।