শেখ হাসিনাকে ভারতের কাছ থেকে প্রত্যাবর্তন করানো নিয়ে ক্রমাগত ফাঁস আরও সরু করে আনার চেষ্টা করছে বাংলাদেশ। সদ্যই হাসিনাকে ভারত থেকে প্রত্যর্পণ করানোর বিষয়ে এক সাক্ষাৎকারে মুখ খুলেছিলেন বাংলাদেশের বর্তমান প্রধান উপদেষ্টা মহম্মদ ইউনুস। এদিকে, আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইবুনাল বা আইসিটির চিফ প্রসিকিউটারের বিশেষ পরামর্শদাতা টবি ক্যাডম্যান শেখ হাসিনার প্রত্যর্পণের সম্ভাবনা নিয়ে মুখ খোলেন।
ব্রিটিশ আইনজীবী টবি ক্যাডম্যানের সঙ্গে বাংলাদেশের এক যোগ রয়েছে। বাংলাদেশের সংবাদপত্র ‘দৈনিক ইত্তেফাক’ এর খবর অনুযায়ী, মানবতাবিরোধী অপরাধে যখন জামায়াত নেতাদের বিচার শুরু হয়েছিল ১০ বছর আগে, তখন টবি ক্যাডম্যানকে আইনজীবী নিয়োগ করেছিল জামায়াত। তবে সেই সময় বাংলাদেশে তাঁকে ঢুকতে দেয়নি শেখ হাসিনা সরকার। তবে অগস্ট পরবর্তী সময়ে, যখন শেখ হাসিনা দেশ থেকে চলে যান, তার পর জুলাই-অগস্ট গণহত্যার প্রসিকিউশন টিমের অন্যতম সদস্য এই টবি ক্যাডম্যান।
বুধবার সকালে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইবুনালে সাংবাদিকদের সামনে মুখ খোলেন ক্যাডম্যান। আনুষ্ঠানিকভাবে অনুরোধ করলে, গণতন্ত্র ও আইনের শাসনের প্রতি শ্রদ্ধা দেখিয়ে প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে ভারত ফেরত পাঠাবে। এমন প্রত্যাশার কথা জানিয়েছে, আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইবুনাল (আইসিটি) এর চিফ প্রসিকিউটারের বিশেষ পরামর্শদাতা ব্রিটিশ আইনজীবী ক্যাডম্যান। তিনি বলছেন, আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইবুনালের আইন অনুযায়ী অভিযোগ গঠিত হলে, ভারত সরকারের কাছে শেখ হাসিনাকে ফেরত দিতে অনুরোধ জানানো হবে। ক্যাডম্যান বলেন, এরপরও যদি ফেরত না দেওয়া হয়, তখন বাংলাদেশ সরকার তাঁর (শেখ হাসিনা) অনুপস্থিতিতে বিচারের বিষয়ে বিবেচনা করা যাবে। কার্যত তিনি ইঙ্গিত দেন, যদি শেখ হাসিনাকে ভারত না পাঠায়, তাহলেও তাঁর অনুপস্থিতিতে তাঁর বিচার অব্যাহত থাকবে। তিনি আরও এক সম্ভাবনার কথা তুলে ধরেন, যদি ভারত শেখ হাসিনাকে ফেরত পাঠাতে না চায়, তাহলে আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালতের সহযোগিতা নেওয়া যায় কি না সেটা পরবর্তী সময়ে বাংলাদেশ সরকার ঠিক করবে। ট্রাইবুনালের চিফ প্রসিকিউটার মহম্মদ তাজুল ইসলাম বলছেন, টবি ক্যাডম্যান আমাদের প্রসিকিউশন আর তদন্ত সংস্থার সঙ্গে বসছেন, আমরা এখনও পর্যন্ত যে সমস্ত কাজ করেছি, তাতে তিনি সন্তুষ্টি প্রকাশ করেছেন।