আইডিবিআই ব্যাঙ্ককে প্রতারণা। ১,২৪৫ কোটি টাকার ক্ষতি করার অভিযোগ এক বেসরকারি সংস্থার ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে। মামলা দায়ের করল সিবিআই। আইডিবিআই ব্যাঙ্কের কোলাবা শাখার দায়ের করা অভিযোগের পর সিবিআই ঘটনার তদন্তে নেমেছে।
বুধবার CBI মহারাষ্ট্র, গুজরাট এবং পশ্চিমবঙ্গে অভিযুক্তদের বাসভবন এবং অফিস-সহ ১৩টি স্থানে তল্লাশি চালায়। অভিযুক্ত সংস্থার নাম এস. কুমারস নেশনওয়াইড লিমিটেড (SKNL)। মধ্যপ্রদেশের দেওয়াসে সংস্থার উৎপাদন ইউনিট রয়েছে। এছাড়া গুজরাটের ভারুচে ঝাগাদিয়া ইন্ডাস্ট্রিয়াল এস্টেট এবং মুম্বইতে রেজিস্টার্ড অফিস রয়েছে।
আরও পড়ুন: মাত্র ১ বছরে লাফিয়ে বাড়বে এই শেয়ারের! কেনা আছে রাকেশ ঝুনঝুনওয়ালারও
সিবিআই আধিকারিকরা জানিয়েছেন, বেসরকারি সংস্থাটি উচ্চমানের সুতি কাপড় এবং টেক্সটাইল উত্পাদন করত। অভিযোগে বলা হয়, সংস্থার পরিচালক ও প্রবর্তকরা ষড়যন্ত্র করে বিভিন্ন ঋণ পরিষেবাকে প্রতারিত করেছেন। সেই সঙ্গে IDBI ব্যাঙ্কের নেতৃত্বে এক কনসোর্টিয়াম থেকে ঋণ নেয় সংস্থাটি। ২০১২ থেকে ২০১৮ পর্যন্ত ব্যাঙ্কের তহবিল নিয়ে নয়ছয় করা হয়েছে। ঋণখেলাপির কারণে ব্যাঙ্কের বিপুল অঙ্কের ক্ষতি হয়েছে৷ বুধবার জারি করা এক বিজ্ঞপ্তিতে সিবিআই জানিয়েছে, ব্যাঙ্কগুলির প্রায় ১,২৪৫.১৫ কোটি টাকার লোকসান হয়েছে।
মামলাটি আইডিবিআই ব্যাঙ্ক এবং কনসোর্টিয়ামের অন্য চার সদস্যের পক্ষে নথিভুক্ত হয়েছে। বাকি চারটি ব্যাঙ্ক হল সেন্ট্রাল ব্যাঙ্ক অফ ইন্ডিয়া, জম্মু ও কাশ্মীর ব্যাঙ্ক, পাঞ্জাব ন্যাশনাল ব্যাঙ্ক এবং ইন্ডিয়ান ব্যাঙ্ক। সংস্থার একাধিক উচ্চপদস্থদের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেছে সিবিআই। অভিযুক্তের তালিকায় রয়েছেন একাধিক সরকারি আধিকারিকও। তবে তাঁদের নাম জানা যায়নি।
মামলার ভিত্তিতে, সংস্থার অভিযুক্ত আধিকারিকদের তাঁদের অফিসিয়াল প্রাঙ্গণ, বাসভবনে অভিযান চালানো হয়। মহারাষ্ট্র, গুজরাট এবং পশ্চিমবঙ্গ সহ ১৩টি স্থানে তল্লাশি চালিয়েছিল সিবিআই। উদ্ধার হয়েছে গুরুত্বপূর্ণ প্রামাণ্য নথিও।