দক্ষিণ গাজায় মুহুর্মুহু ইজরায়েলি গোলাবর্ষণে সদ্য নিহত হয়েছে হামাসের রাজনৈতিক ব্যুরোর নেতা সালা আল বারদাউইল। এদিকে, গত ১৮ মাস ধরে চলা এই যুদ্ধে এপর্যন্ত গাজায় ৫০ হাজারের বেশি মানুষের মৃত্যু হয়েছে। সদ্য হামাসের তরফে জানানো হয়েছে, খান ইউনুসে ইজরায়েলি এয়ারস্ট্রাইকে হামাসের ওই তাবড় নেতা সহ তার স্ত্রীর মৃত্যু হয়।
ইজরায়েলের সেনার তরফেও হামাসের তাবড় নেতা সালা আল বারদাউইলের এয়ারস্ট্রাইকে মৃত্যুর ঘটনার সত্যতা স্বীকার করা হয়েছে। এদিকে, গত ২ মাস যুদ্ধ পরিস্থিতি কিছুটা শান্ত ছিল গাজায়। তবে তবে, নতুন করে সেখানে পারদ চড়তেই গাজা ফের ছাড়ছেন বহু মানুষ। রবিবার দিনভর দক্ষিণ, উত্তর, মধ্য গাজায় একের পর এক বোমা বিস্ফোরণ হয়েছে। ইজরায়েলের বিমান একের পর এক টার্গেটে হামলা করেছে। রবিবার রাফা ও খান ইউনুসে ইজরায়েলি হানায় নতুন করে ৩০ জন প্যালেস্তিনীয়র মৃত্যু হয়েছে। এদিকে, ইজরায়েলের অন্দরেও পরিস্থিতি খুব একটা সুখের নয়। রয়টার্সের রিপোর্ট বলছে, রবিবার নিয়ে টানা ছয় দিনে পড়ল ইজরায়েের অন্দরে প্রতিবাদ অবস্থান। জেরুজালেম, তেল আভিভে গত এক সপ্তাহ ধরে এই প্রতিবাদ মিছিল চলছে। গাজায় ইজরায়েলের গোলা বর্ষণ শুরু হতেই, বহু ইজরায়েলির আশঙ্কা শুরু হয়েছে হামাসের হাতে ইজরায়েলি পণবন্দিদের অবস্থা নিয়ে। সেই উদ্বেগ এই বিক্ষোভের অন্যতম কারণ। এদিকে, ইজরায়েলের অভ্যন্তরীণ গোয়েন্দা বিভাগের প্রধানকে সদ্য ছাঁটাই করেছে নেতানিয়াহু সরকার। যে ঘটনাও স্থানীয়রা খুব একটা ভালোভাবে নেননি, বলে বহু মিডিয়া রিপোর্টের দাবি। এদিকে, মিডিয়া রিপোর্ট বলছে, ইজরায়েলের অন্দরে সম্ভবত গদির টলমল অবস্থা সেদেশের অ্যাটর্নি জেনারেলের। সেদেশের অ্যাটর্নি জেনারেলের বিরুদ্ধে নেতানিয়াহু মন্ত্রিসভা অনাস্থা প্রস্তাবের ডাক দিতে প্রস্তুতি নিচ্ছে। উল্লেখ্য, ইজরায়েলের অ্যাটর্নি জেনারেল গালি বাহারভ মিয়ারার সঙ্গে বহু সময়ই নেতানিয়াহু সরকারের মতবিরোধ দেখা গিয়েছে।
গত সপ্তাহেই ইজরায়েলের মিডিয়া দাবি করেছিল যে, সম্ভবত রবিবার নাগাদ অ্যাটর্নি জেনারেলকে নিয়ে বড় পদক্ষেপের পথে হাঁটতে পারে ইজরায়েল। এদিকে, সেই খবর প্রকাশ্যে আসতেই ইজরায়েলের অন্দরে প্রতিবাদীদের মধ্যে ক্ষোভ বাড়তে শুরু করছে। এই অবস্থার মাঝে গাজায় নতুন করে হামলার জেরে গত ১৮ মাসে মৃতের সংখ্যা পার করল ৫০ হাজারের সংখ্যা।