যত্রতত্র আর প্রতিমা বিসর্জন দেওয়া যাবে না। কারণ তাতে দূষণ বাড়তে পারে। এই কথা উল্লেখ করে দিল্লি দূষণ নিয়ন্ত্রণ কমিটি বুধবার দূর্গা প্রতিমা বিসর্জনের জন্য একটি দীর্ঘ নির্দেশিকা জারি করেছে। তা নিয়ে জোর চর্চা শুরু হয়েছে পুজো কমিটিগুলির মধ্যে। এই নির্দেশিকায় বলা হয়েছে, জলাশয়–পুকুর–ঘাট এমনকী যমুনা নদীর মতো জনসমাগম হওয়া জায়গায় প্রতিমা বিসর্জন করা যাবে না। আর তাতেই অনেকের পরিকল্পনা ভেস্তে গিয়েছে বলে খবর।
কী উল্লেখ করা হয়েছে নির্দেশিকায়? নির্দেশিকা থেকে জানা গিয়েছে যে, দুর্গা প্রতিমা বিসর্জন মানুষের বাড়ি অথবা কমিউনিটি সেন্টারে হতে পারে। যেখানে বড় জায়গা বা অন্যান্য পাত্রে বিসর্জনের ব্যবস্থা রয়েছে। ফুল, সাজসজ্জা সামগ্রী–সহ পূজার উপকরণ বিসর্জনের আগে সরিয়ে ফেলতে হবে। পরিবেশের নিরাপত্তার কথা মাথায় রেখে পৃথকভাবে বর্জ্য সংগ্রহের যানবাহনে ফেলে দিতে হবে।
এখানেই শেষ নয়, নির্দেশিকায় আরও বলা হয়েছে, যমুনা নদীতে কোনও প্রতিমা বিসর্জনের অনুমতি দেওয়া হবে না। তারপরও যদি কেউ এই নির্দেশ লঙ্ঘন করে তাহলে ৫০,০০০ টাকা জরিমানা দিতে হবে। ডিপিসিসি নির্দেশ দিয়েছে, মিউনিসিপ্যাল এজেন্সি এবং নয়াদিল্লি পুলিশকে যে, শহরের সব গুরুত্বপূর্ণ বিসর্জনের জায়গায় কড়া পাহারা দিতে হবে। আর কঠোর তল্লাশি নিশ্চিত করতে হবে।
জানা গিয়েছে, প্রতিমা তৈরির ক্ষেত্রে আগেই নাকি প্লাস্টার অফ প্যারিস ব্যবহার নিষিদ্ধ করেছে। কারণ এই জিনিস দিয়ে মূর্তি তৈরি করতে নানা রাসায়নিক ব্যবহার হয়। তা জলে মিশলে দূষণ ছড়িয়ে পড়ে। এমনকী এই রাসায়নিক জলজ জীবনে ক্ষতিকর প্রভাব ফেলে। তাছাড়া এই জল ব্যবহার করলে মানুষের ক্যান্সার, শ্বাসকষ্টজনিত রোগ এবং ত্বকের সংক্রমণ দেখা দিতে পারে।