অবৈধ অভিবাসন ঘিরে এক বড়সড় চক্রের পর্দাফাঁস কর গুজরাতের মেহসানা পুলিশ। সেখানে ‘ইন্টারন্যাশনাল ইংলিশ ল্যাঙ্গুয়েজ টেস্টিং সিস্টেম’ এর পরীক্ষায় অযোগ্যদের উচ্চমাত্রায় নম্বর পাইয়ে দেওয়ার কারবার চলছিল। আর পড়ুয়ারা এই পরীক্ষায় পাশ করে কানাডার নামী কলেজে ভর্তি হয়ে আমেরিকায় চোরাপথে যেত, এমনই দাবি পুলিশের। গোটা চক্রের পর্দাফাঁস করে ৪৫ জনের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেছে পুলিশ। গ্রেফতার ৩।
এই গোটা চক্রে সুরাত থেকে এক পড়ুয়াকেও গ্রেফতার করেছে পুলিশ। আটক হয়েছে এক কোচিং ক্লাসের মালি, প্রাইভেট এক্সামিনেশন ম্যানেজমেন্টের সিইও, পরীক্ষা কেন্দ্রের কর্মী সহ অনেকে। উল্লেখ্য, ঘটনার সূত্রপাত ২০২২ সালের ১৯ এপ্রিল এক অভিবাসনকে কেন্দ্র করে। সেই সময় দেখা যায়, ৪ অভিযুক্তের কেউই স্নাতক পাশ নন। আর তাঁরাই কানাডা চলে যান। এই গোটা চক্রের মূল পাণ্ডা অমিত চৌধুরী। তার বিরুদ্ধে অভিযোগ, তিনি কানাডার প্রতিষ্ঠানগুলিতে দেখাতেন যে, ভর্তিযোগ্য পড়ুয়ারা সকলেই স্নাতক, আর তা তিনি ভুয়ো নথি বানিয়ে তুলে ধরতেন কানাডার কাছে। বাংলাদেশে ২০২৩ সাধারণ নির্বাচনের আগে হাসিনার ভারত সফর! কিছু তথ্য একনজরে
প্রশাসনের চোখ তখন খোলে, যখন গুজরাত থেকে যাওয়া ৬ জনকে অবাধ অভিবাসনের জেরে গ্রেফতার করা হয় কানাডার সেন্ট রেজিসে। সেখানে একটি নৌকা ধরা পড়তেই এই ঘটনা সামনে আসে। আমেরিকার সীমান্তে গুজরাতের ৪ পড়ুয়া ধরা পড়ে। মোদীগড় গুজরাতে শুরু হয় তদন্ত।
প্রসঙ্গত, যে পরীক্ষা নিয়ে এই গোটা ইস্যু তা হল ‘ ইন্টারন্যাশনাল স্ট্যান্ডার্ডাইজড টেস্ট’। এর হাত ধরে ইংরেজি ভাষায় পটু হওয়ার প্রমাণ নেওয়া হয়। যাঁরা এই ভাষায় পটু হন তাঁরা ‘ইন্টারন্যাশনাল ইংলিশ ল্যাঙ্গুয়েজ টেস্টিং সিস্টেম’ পরীক্ষায় ভালো নম্বর পান। আর তারপরই তাঁরা সুযোগ পান বিদেশের কোনও শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে পড়ার। কানাডায় অভিবাসনের ক্ষেত্রে এই পরীক্ষায় চরম দুর্নীতি করে এই পাচারচক্রটি পড়ুয়াদের সেদেশে পাঠাচ্ছিল। গোটা ঘটনায় গ্রেফতারি ঘিরে একাধিক জল্পনা উঠে এসেছে।