অন্য কোনও দেশে হামলার জন্য যেন আফগানিস্তানের মাটি ব্যবহার না করা হয়। তাহলে আফগানিস্তানের প্রতিবেশী দেশ এবং সংশ্লিষ্ট অঞ্চলগুলি নিরাপদ বোধ করবে। রাষ্ট্রসংঘের নিরাপত্তা পরিষদের বৈঠকে একথা জানাল ভারত।
রাষ্ট্রসংঘে ভারতের দূত টিএস কৃষ্ণমূর্তি জানান, ১০ দিন আগে নিরাপত্তা পরিষদের যে বৈঠক হয়েছিল, তারপর আফগানিস্তানের পরিস্থিতির ব্যাপক পরিবর্তন হয়েছে। যা নয়াদিল্লির কাছে গভীর উদ্বেগের বিষয়। তিনি বলেন, ‘বর্তমানে আফগানিস্তানের যে পরিস্থিতি, তাতে একাধিক চ্যালেঞ্জের মুখে দাঁড়াতে হচ্ছে। কোনওভাবেই সন্ত্রাসবাদ বরদাস্ত করা হবে না, এমন নীতি থাকলে অন্য কোনও দেশকে হুমকি দেওয়া বা সেই দেশের উপর হামলা চালানোর জন্য আফগানিস্তানের মাটি যাতে ব্যবহৃত না হয়, তা নিশ্চিত করতে হবে। তাহলে আফগানিস্তানের প্রতিবেশী দেশ এবং সংশ্লিষ্ট অঞ্চলগুলি নিরাপদ বোধ করবে।’
সোমবার রাষ্ট্রসংঘের নিরাপত্তা পরিষদের বৈঠকে বেশিরভাগ স্থায়ী এবং অস্থায়ী সদস্য দেশের তরফে জানানো হয়, আফগানিস্তানের মাটি ব্যবহার করে যাতে আল-কায়দা, আইএসের মতো জঙ্গি সংগঠনের বাড়বাড়ন্ত না হয়, তা তালিবানকে নিশ্চিত করতে হবে। বিভিন্ন দেশের রাষ্ট্রদূত, কূটনীতিবিদ এবং মানবাধিকার সংগঠনের সুরক্ষার উপরও জোর দেওয়া হয়েছে। তবে তালিবানের প্রতি সুর নরম রেখে চলেছে চিন এবং রাশিয়া।
তারইমধ্যে নয়াদিল্লির তরফে আফগান মহিলা, শিশু এবং সংখ্যালঘুদের অধিকার রক্ষার উপর জোর দেওয়া হয়েছে। রাষ্ট্রসংঘে ভারতের দূত তুলে ধরেছেন, আফগান পুরুষ, মহিলা এবং শিশুদের আতঙ্কে দিন কাটছে। তাঁদের মৌলিক অধিকার লাগাতার ভঙ্গ করা হচ্ছে। তিনি বলেন, ‘আমাদের আশা যে পরিস্থিতি শীঘ্রই স্বাভাবিক হবে। আমাদের আশা যে একটি সর্বাত্মক বিধান, যা আফগান সমাজের সব শ্রেণির প্রতিনিধিত্ব করবে।’