১৯৮৪ সাল। গোটা দেশ হারিয়েছিল ইন্দিরা গান্ধীকে। রাহুল হারিয়েছিলেন তাঁর সুপারমমকে। রবিবার সেকথাই স্মরণ করতে গিয়ে আবেগ বিহ্বল রাহুল গান্ধী। তিন মিনিটের একটি ভিডিও পোস্ট করে রাহুল জানিয়েছেন, সেদিন কীভাবে তিনি হারিয়েছিলেন তাঁর এক মাকে, তাঁর দ্বিতীয় মা, তাঁর সুপারমমকে। বাবা রাজীব গান্ধী যখন খুব রেগে যেতেন তখন এই সুমারমমই তো বাঁচাতেন ছোট্ট রাহুলকে। ভিডিওতে দেখা যাচ্ছে ইন্দিরার শেষ যাত্রায় কাঁদছেন রাহুল।
ইউটিউবে পোস্ট করা সেই ভিডিওতে রাহুল উল্লেখ করেছেন, মৃত্যুর আগে তিনি বলেছিলেন, যদি কিছু হয়ে যায় আমি যেন না কাঁদি। তিনি কী বলতে চাইছেন আমি বুঝতে পারিনি। ২-৩ ঘণ্টা পরই তিনি মারা যান। তিনি যে মারা যাবেন সেটা আগাম বুঝতে পারছিলেন তিনি। পরিবারের লোকজনও এটা জানতেন।
রাহুল বলেছেন, ঠাকুমা বলেছিলেন কাঁদবে না। সেকারণে ভিডিওতে মুখটা দেখাতে চাইনি আমি। স্মৃতি চারণায় ফিরে যান তিনি। একবার খাবার টেবিলে বসেছিলাম। তিনি আমায় বলেছিলেন রোগে মৃত্যু সবচেয়ে বড় অভিশাপ। তাঁর দৃষ্টিভঙ্গিতে এটাই ছিল মৃত্যুর সবথেকে ভালো পথ। দেশের জন্য মৃত্যু। রাহুল বলছেন, আমার বাবা ছিলেন খুব কঠোর। আর সেই সময় আমার দুজন মা ছিলেন। একজন আমার ঠাকুমা, আমার সুপার মম। বাবা যখন রেগে যেতেন তখন তো ঠাকুমাই বাঁচাতেন। এদিকে রবিবার শক্তিস্থলে ইন্দিরা গান্ধির স্মৃতিতে ফুল দিয়েছেন রাহুল। টুইট করে লিখেছেন আমার ঠাকুমা জীবনের শেষ মুহূর্ত পর্যন্ত দেশ সেবা করেছেন। তাঁর জীবন আমার কাছে অনুপ্রেরণার।