আয়শত শিফা। কর্ণাটকের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে হিজাব নিষিদ্ধকরণের নির্দেশের বিরুদ্ধে তিনিই প্রথম আওয়াজ তুলেছিলেন। বুধবার তিনিই সুপ্রিম কোর্টে প্রশ্ন তুললেন ধর্মনিরপেক্ষ প্রশাসন কীভাবে টিপ, চুড়ি, ক্রশ পরতে দেন অথচ মুসলিম ছাত্রীদের হিজাব পরার মৌলিক অধিকার কেড়ে নিতে চান? হিজাব বিতর্কে এবার নয়া মোড়।
ওই ছাত্রীর পক্ষের আইনজীবী দেবদত্ত কামাত আমেরিকা, কানাডা, সাউথ আফ্রিকার পাশাপাশি সুপ্রিম কোর্টের আগে রায়ের কথা উল্লেখ করে জানান মুসলিম ছাত্রীদের ধর্মবিশ্বাস অনুসারে কোন পোশাক পরবেন তা পছন্দ করার অধিকার রয়েছে।
তবে বিচারপতি হেমন্ত গুপ্তা ও সুধাংশু ধুলিয়ার বেঞ্চ জানিয়েছে, অযৌক্তিক দিকে তর্ককে এগিয়ে নিয়ে যাবেন না। ক্রশ, রুদ্রাক্ষ পরা প্রসঙ্গে বিচারপতিদের বেঞ্চ জানিয়েছে, এগুলি ইউনিফর্মের উপর কেউ পরেন না। এগুলি ঢাকাই থাকে। কেউ বলেননি যে ইউনিফর্ম খুলে দেখাতে হবে কী ধরনের ধর্মীয় প্রতীক তারা পরেছেন।
বিচারপতিদের বেঞ্চ জানিয়েছে, শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ছাড়া অন্য় যেখানে খুশি তারা হিজাব পরতেই পারেন। কারণ শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে নির্দিষ্ট ইউনিফর্ম রয়েছে। এদিকে আইনজীবী দেবদত্তা কামাত জানিয়েছেন, মুসলিম ছাত্রীরা হিজাব পরলে তা সংবিধানের ২৫ ধারাকে কোনওভাবেই বিঘ্ন ঘটানো হয় না। সেক্ষেত্রে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে হিজাব পরা নিষিদ্ধ করার বিষয়টি একেবারে অসাংবিধানিক।
বিচারপতিদের বেঞ্চ জানিয়েছে, পোশাক পরার অধিকার মানে কি পোশাক না পরা? আইনজীবী কামাত জানিয়েছেন, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে কেউই পোশাক খুলে থাকেন না। তবে বিচারপতিদের বেঞ্চ জানিয়েছে, হিজাবের মতো অতিরিক্ত পোশাক কেউ শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে পরতে পারবেন কি না তা নিয়েই এই আপিল।