দলের কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব চাইলেই তিনি মুখ্যমন্ত্রীর পদ থেকে পদত্যাগ করতেও প্রস্তুত।দলের মধ্যে শুরু হওয়া চাপা ক্ষোভের মধ্যে এই কথাই শোনা গেল কর্নাটকের মুখ্যমন্ত্রী বি এস ইয়েদুরাপ্পার মুখে। ইতিমধ্যে দলের মধ্যে রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীর মুখ বদলের জোর দাবি উঠেছে। অনেক রাজ্য স্তরের নেতারাই কেন্দ্রের কাছে এই বিষয়ে দরবার করেছেন।এই পরিস্থিতিতে কর্নাটকের মুখ্যমন্ত্রীর এই বক্তব্য অত্যন্ত তাৎপর্যপূর্ণ বলে মনে করা হচ্ছে।
এই প্রসঙ্গে সংবাদ সংস্থা পিটিআই সূত্রে খবর, কর্নাটকের মুখ্যমন্ত্রী কেন্দ্রীয় নেতৃত্বকে উদ্দেশ্য করে জানিয়েছেন, ‘যেদিন তাঁরা বলবেন, তাঁদের আর আমাকে দরকার নেই, সেদিনই আমি পদত্যাগ করতে প্রস্তুত। ততদিন পর্যন্ত রাজ্যের উন্নয়নের জন্য দিবারাত্র কাজ করে যেতে চাই।’ একইসঙ্গে তিনি জানিয়েছেন, দলের হাই কমান্ড তাঁকে দায়িত্ব দিয়েছেন কাজ করার জন্য। আমি আমার সাধ্যমতো দায়িত্ব পালন করে যাব।তবে বাকিটা কেন্দ্রীয় নেতৃত্বের ওপর নির্ভর করে আছে। এদিন রাজ্যে বিকল্প নেতৃত্ব নিয়েও মুখ খোলেন ইয়েদুরাপ্পা। এই প্রসঙ্গে তিনি জানান,‘আমি কারো সমালোচনা করছি না।বিকল্প নেতৃত্ব যে নেই সেই কথাও বলছি না। দেশে বলুক বা রাজ্যে বিকল্প ব্যক্তিত্ব অবশ্যই থাকে।কিন্তু যতক্ষণ পর্যন্ত হাই কমান্ডের আস্থা আমার ওপর আছে, ততক্ষণ পর্যন্ত রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী হিসাবে কাজ করে যাব।’
এদিন ইয়েদুরাপ্পার ডেপুটি সি এন অশ্বত্বনারায়ন জানান, ইয়েদুরাপ্পার মুখ্যমন্ত্রীর পদ থেকে সরে দাঁড়ানোর কোনও প্রশ্নই নেই। সেরকম কোনও আলোচনাই দলের মধ্যে হয়নি।উনি দলের একজন নিষ্ঠাবান কর্মী। দল যেভাবে তাঁকে কাজ করতে বলবে, তিনি সেইভাবেই কাজ করে যাবেন। এদিকে জাতীয় স্তরে দলের সাধারণ সম্পাদক সি টি রবি জানান, ইয়েদুরাপ্পাই নুখ্যমন্ত্রী হিসাবে কাজ চালিয়ে যাবেন। তাঁর মুখ্যমন্ত্রীর দায়িত্ব থেকে অব্যাহতি দেওয়ার কোনও প্রশ্নই নেই। কোনওরকম গুজবে কান দেবেন না।
উল্লেখ্য, গত মে মাসে দিল্লিতে গিয়ে রাজ্যের এক মন্ত্রী ও ২ জন বিজেপি নেতা মুখ্যমন্ত্রী ইয়েদুরাপ্পার বিরুদ্ধে নালিশ জানিয়ে আসেন। বিজেপির অন্দরের খবর, রাজ্যের অনেক নেতাই ইয়েদুরাপ্পার বিভিন্ন কাজকর্মে খুশি নয়। বিজেপির মধ্যে অনেক নেতাই কেন্দ্রীয় নেতৃত্বের কাছে নালিশ জানিয়েছেন, রাজ্যে করোনা পরিস্থিতি মোকাবিলায় ঠিক মতো কাজ করতে পারছেন না মুখ্যমন্ত্রী। সম্প্রতি রাজ্যে উপ নির্বাচনে বিজেপির খারাপ ফল হওয়ার কারণ হিসাবে ৭৮ বছর বয়সি ইয়েদুরাপ্পাকে কাঠগড়ায় তুলেছেন বিজেপি নেতারা। যদিও কর্নাটকের মুখ্যমন্ত্রীর অবশ্য দাবি, তাঁর কাছ করোনা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ ও মানুষকে সুরক্ষিত রাখাই এথন প্রধান লক্ষ্য।