অপরিশোধিত তেলের দাম যদি সঠিক পর্যায়ে না রাখা হয়, তবে তা বিশ্বব্যাপী অর্থনৈতিক পুনরুদ্ধারের ক্ষেত্রে প্রভাব ফেলবে। শুক্রবার এমনটাই বললেন কেন্দ্রীয় পেট্রোলিয়াম মন্ত্রী হরদীপ সিং পুরী।
রফতানিকারক এবং সরবরাহকারী, উভয়ের প্রয়োজনীয়তার ভারসাম্য রেখে দাম হলে তবেই দুই তরফেই লাভ হবে। CERAWeek-এর পঞ্চম ইন্ডিয়া এনার্জি ফোরামে এই মন্তব্য করেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী। বিশ্ব ব্যাঙ্কের সাম্প্রতিক পণ্য বাজারের দৃষ্টিভঙ্গির উল্লেখ করে হরদীপ সিং পুরী বলেন, জ্বালানির দাম কখনওই রফতানিকারক দেশগুলির অর্থ প্রদানের ক্ষমতাকে ছাড়িয়ে যেতে দেওয়া উচিত নয়। উত্পাদকদের প্রাপ্য বজায় রেখেই দাম নিয়ন্ত্রণ করার গুরুত্ব তুলে ধরেন তিনি।
বর্তমান পরিস্থিতির প্রেক্ষিতে কেন্দ্রীয় মন্ত্রীর এই মন্তব্য বেশ তাত্পর্যপূর্ণ। পেট্রোলিয়াম রফতানিকারক দেশগুলি এবং তাদের সহযোগীরা (একত্রে OPEC+ নামে পরিচিত) তেলের দাম কৃত্রিমভাবে বাড়াচ্ছে। সরবরাহ কমিয়ে দিয়ে বিশ্বজুড়ে চাহিদা বাড়িয়ে দেওয়া হচ্ছে। ফলে দাম বেড়ে যাচ্ছে। অধিক মুনাফায় তেল বিক্রি করছে দেশগুলি। কোভিড মহামারী থেকে দ্রুত অর্থনৈতিক পুনরুদ্ধারের উদ্দেশ্যে উৎপাদকরা বাড়তি চাহিদার মধ্যেও সরবরাহ সীমাবদ্ধ রাখছে। ফলে আন্তর্জাতিক বাজারে অপরিশোধিত তেলের দাম গগনচুম্বী।
বৃহস্পতিবার বেঞ্চমার্ক ব্রেন্ট ক্রুড ট্রেডিং সেশনের সময় ৮৬.১ ডলার প্রতি ব্যারেল দামে পৌঁছে গিয়েছিল। গত তিন বছরের সর্বোচ্চ দাম এটি। শুক্রবারও দাম ৮৫ ডলারের আশেপাশে থেকেছে। ভারতে প্রয়োজনীয় অপরিশোধিত তেলের ৮৫% আমদানি করা হয়। বিশ্ব বাজারে অপরিশোধিত তেলের দাম বৃদ্ধির প্রভাব পড়ছে স্থানীয় বাজারেও। শনিবার কলকাতায় পেট্রল ১০৭.৭৮ টাকা প্রতি লিটারে দাঁড়িয়েছে।