বাংলা নিউজ > ঘরে বাইরে > মনে হয় ভুয়ো…মোদীর শিক্ষাগত সার্টিফিকেট নিয়ে ফের প্রশ্ন তুললেন কেজরিওয়াল

মনে হয় ভুয়ো…মোদীর শিক্ষাগত সার্টিফিকেট নিয়ে ফের প্রশ্ন তুললেন কেজরিওয়াল

প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী ও অরবিন্দ কেজরিওয়াল। ফাইল ছবি 

যদি সত্যি হয় তবে কেন শিক্ষাগত যোগ্যতার সার্টিফিকেট দেখান না মোদী? প্রশ্ন তুললেন কেজরিওয়াল। কোর্টের নির্দেশের পরেও। 

গুজরাট হাই কোর্ট ইতিমধ্যেই জানিয়েছে, প্রধানমন্ত্রীর ডিগ্রি বা পোস্ট গ্র্য়াজুয়েট ডিগ্রি প্রকাশ করার দরকার নেই। আদালতের এই রায়ের একদিন পরে মুখ খুলেছেন দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়াল।তিনি জানিয়েছেন, মনে হয় প্রধানমন্ত্রী ডিগ্রি ভুয়ো।শনিবার মিডিয়ার সামনে একথা জানিয়েছেন তিনি। এমনকী প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর শিক্ষাগত যোগ্যতা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন। এদিকে দিল্লির মুখ্য়মন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়াল প্রধানমন্ত্রীর শিক্ষাগত যোগ্যতার সার্টিফিকেট চেয়েছিলেন। সেই ঘটনায় কোর্ট তাকে ২৫,০০০ টাকা জরিমানা করেছে।

প্রধানমন্ত্রীর আগের একাধিক মন্তব্যের সমালোচনা করেছেন আপ সুপ্রিমো। কেজরিওয়াল বলেন, এর আগে একাধিক মন্তব্য করেছিলেন প্রধানমন্ত্রী যা শুনে হতবাক হয়ে গিয়েছে দেশবাসী। একবার তিনি বলেছিলেন, ড্রেন থেকে যে গ্যাস বের হয় তা দিয়ে কেউ চা তৈরি করতে পারেন। একবার তিনি বলেছিলেন কোনও প্লেন যদি মেঘের আড়ালে থাকে তবে রাডার তাকে খুঁজে পাবে না, সে রাডারের চিহ্নিতকরণের হাত থেকে বেঁচে যাবে।

কেজরিওয়াল বলেন, এসব কথা শুনে আর্মির লোকজন, পড়ুয়ারা ও বিজ্ঞানীরাও অবাক হয়ে গিয়েছিলেন।

এর সঙ্গেই কেজরিওয়াল জানিয়েছেন কানাডাতে একবার অঙ্কের একটা ফর্মুলা বলেছিলেন মোদী। কিন্তু তিনি নিজেই সেই ফর্মুলার সমাধান করতে পারেননি। আর তার জেরে প্রবাসী ভারতীয়রাও অস্বস্তিতে পড়ে গিয়েছিলেন।

কেজরিওয়াল বলেন, একবার প্রধানমন্ত্রী বাচ্চাদের বলেছিলেন আবহাওয়ার পরিবর্তনের ব্যাপারটি কিছুই নয়। কিন্তু খোদ প্রধানমন্ত্রী যদি একথা বলেন তবে কাজ কীভাবে হবে? আমরা দেখেছিলেন মোদীর কথা শুনে সেই অনুষ্ঠানে বাচ্চারাও মুখ টিপে হাসছে।

তিনি বলেন, এই সব ঘটনার জেরে প্রধানমন্ত্রীর শিক্ষাগত যোগ্যতার বিশ্বাসযোগ্যতা নিয়ে প্রশ্ন উঠছে। এদিকে তিনি বলেন, আমি একটি ভিডিয়োতে দেখেছিলাম তিনি বলেছেন, আমি গ্রামের স্কুলে গিয়েছিলাম। তিনি কোনও উচ্চশিক্ষা নেননি।

তবে কেজরিওয়াল জানিয়েছেন, কেউ অশিক্ষিত থাকাটা অপরাধের নয়। বহু ছাত্রছাত্রী সুযোগের অভাবে উপযুক্ত পড়াশোনা থেকে বঞ্চিত থাকেন। তবে দেশের একজন শিক্ষিত প্রধানমন্ত্রী দরকার। যাতে তিনি একই দিন প্রচুর সিদ্ধান্ত নিতে পারেন। কারণ তিনি নিজে যদি শিক্ষিত না হন তবে তার চারদিকে যে অফিসাররা থাকবেন তারা তাকে প্রভাবিত করতে পারেন।

তিনি নোটবন্দির কথাও উল্লেখ করেছেন। নোটবন্দি গোটা দেশকে নাড়িয়ে দিয়েছিল। দেশের উন্নতিকে দশ বছর পিছিয়ে দিয়েছে। প্রধানমন্ত্রী যদি শিক্ষিত হয়ে থাকতেন তবে নোটবন্দির ঘটনা হত না।

 

বন্ধ করুন