সরাসরি শরীরে স্পর্শ না করলে পকসো আইনের আওতায় যৌন নির্যাতন বলে বিবেচনা করা হবে না। বম্বে হাইকোর্টের নাগপুর বেঞ্চের সেই বিতর্কিত পর্যবেক্ষণের বিরুদ্ধে মঙ্গলবার সুপ্রিম কোর্টে অ্যাটর্নি জেনারেল কে কে বেণুগোপাল সাফ জানান, ত্বকে ছোঁয়া না লাগার মানদণ্ডের ফলে সমাজে ভয়ঙ্কর প্রভাব পড়বে। সার্জিকাল গ্লাভস পরে কোনও মেয়ের ত্বক স্পর্শ করলে কোনও পুরুষকে দোষী সাব্যস্ত করা যাবে না। পকসো আইনের আওতায় ন্যূনতম শাস্তিও এড়িয়ে যেতে পারবে।
চলতি বছরের ১৯ জানুয়ারি বিতর্কিত রায়ে বম্বে হাইকোর্টের নাগপুর বেঞ্চ জানিয়েছিল, শারীরিক স্পর্শ ছাড়া কোনও নাবালিকার বুকে চাপ দেওয়ার ঘটনাকে পকসো আইনের আওতায় যৌন নির্যাতন হিসেবে বিবেচনা করা যাবে না। বিচারপতি পুষ্প গানেদিওয়ালা পর্যবেক্ষণ করেছিলেন, ‘যৌন অভিপ্রায় নিয়ে সরাসরি শরীরে স্পর্শ’ করা হলে তবেই তা যৌন নির্যাতন হিসেবে বিবেচনা করা হবে। যৌন অভিপ্রায়ে কোনও শারীরিক স্পর্শ না হওয়ায় সেই ঘটনাকে পকসো আইনের আওতায় ধরা যাবে না। সেজন্য অভিযুক্ত ব্যক্তিকে মুক্তি দিয়েছিল হাইকোর্ট। যে ব্যক্তি নাবালিকার বুকে চাপ দিয়েছিলেন বলে অভিযোগ করা হয়েছিল।
সেই বিতর্কিত রায়ের বিরুদ্ধে সুপ্রিম কোর্টে পিটিশন দাখিল করেন অ্যাটর্নি জেনারেল। তাঁর আর্জির ভিত্তিতে ২৭ জানুয়ারি সেই বিতর্কিত রায়ের উপর স্থগিতাদেশ দিয়েছিল সুপ্রিম কোর্ট। সেইসঙ্গে পকসো আইনের আওতায় নির্দেশ দেওয়ার বিষয়টি বিবেচনা করার আশ্বাস দিয়েছিল, যাতে আইনের প্রকৃত উদ্দেশ্য ব্যর্থ না হয়।
তারইমধ্যে চলতি বছরের জানুয়ারি মাসেই আরও একটি বিতর্কিত রায় দিয়েছিল বম্বে হাইকোর্টের নাগপুর বেঞ্চ। বিচারপতি গানেদিওয়ালা জানিয়েছিলেন, নাবালিকার সামনে প্যান্টের চেন খোলা পকসো আইনের আওতায় যৌন হেনস্থা নয়। জামিনও মঞ্জুর করা হয়েছিল। পরপর দুই বিতর্কিত রায়ের পরিপ্রেক্ষিতে অ্যাটর্নি জেনারেল বলেছিলেন, ‘এটা ভয়ঙ্কর রায়। যা অত্যন্ত অস্বস্তিকর। তা খারিজ করে দেওয়া উচিত এবং অভিযুক্তদের শাস্তি দিতে হবে।’