সিএএ বিরোধী প্রতিবাদীদের মৃত্যু নিয়ে অসংবেদনশীল মন্তব্য করলেন উত্তরপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথ। উত্তরপ্রদেশে সিএএ বিরোধী প্রতিবাদে সংঘর্ষে ২৪জন মারা গিয়েছেন। সেই প্রসঙ্গে আদিত্যনাথ বলেন যে যারা মরতে চান তাদের বাঁচানো সম্ভব নয়।
আদিত্যনাথ বলেন যে- আগার কোই মারনে কে লিয়ে আ রাহা হে তো ও জিন্দা কাহান সে হো জায়েগা (কেউ যদি মরতে চায়, তাকে বাঁচিয়ে কী ভাবে রাখা যাবে)। আদিত্যনাথ বলেন যে কখন কেউ রাস্তায় লোকজনকে হত্যা করতে বেরোয়, তখন এক নয় সে মরে বা পুলিশ মরে। উত্তরপ্রদেশ বিধানসভার যৌথ অধিবেশনে এই কথা বলেন যোগী আদিত্যনাথ।
তবে পুলিশের গুলিতে কেউ মারা যায়নি বলে দাবি করেন যোগী আদিত্যনাথ। যারা গণ্ডগোল পাকিয়েছিল, তাদের বুলেটেই লোকজন মারা গিয়েছে বলে জানান আদিত্যনাথ। এই সব বিক্ষোভকারীদের রাজনৈতিক মদত ছিল বলেও দাবি করেন তিনি। জিন্নাহর স্বপ্ন এই বিক্ষোভকারী পূর্ণ করতে চায় বলে অভিমত যোগীর।
রাজ্য সরকার শান্তিপূর্ণ বিক্ষোভের বিরোধী নয় বলে যোগীর হুঁশিয়ারি যে যারা ঝামেলা করতে চাইবে, তারা যে ভাষা বোঝে, সে ভাষাতেই বোঝানো হবে। এই প্রতিবাদীদের অর্খ পিএফআই জুগিয়েছিল বলে তদন্তে উঠে এসেছে বলে জানান যোগী। ভারত-বিরোধীদের প্রতি বিরোধীদলগুলির সহানুভুতিশীল হওয়া উচিত নয় বলেও জানান তিনি।
এদিন সিএএ-এর সমর্থনে বক্তব্য রাখেন যোগী। নেহরু-লিয়াকাত প্যাক্টের পর ১৯৫৫ সালে এই আইনের কাঠামো নির্মিত হয়েছিল বলে জানান তিনি।
বিরোধীরা সিএএ বিরোধী আন্দোলনের সময় মৃত্যুর তদন্তের দাবি করেছিল সুপ্রিম কোর্ট বা হাইকোর্টের বিচারপতির তত্ত্বাবধানে। সেই দাবিও কার্যত খারিজ করে দেন উত্তরপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী।