বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, ‘তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে নির্বাচন হলে আওয়ামী লীগের চিহ্নও থাকবে না৷ এমনকি তারা ১০টি আসনও পাবে না৷' তিনি বলেন, ‘এই দেশে তত্ত্বাধায়ক সরকার ছাড়া কোনও অবাধ সু্ষ্ঠু নির্বাচন হতে পারে না৷’ এসময় তিনি সরকারকে পদত্যাগের দাবি জানান৷
শনিবার খুলনায় বিভাগীয় সমাবেশে প্রধান অতিথির ভাষণে মির্জা ফখরুল এই কথা বলেন৷ খুলনায় সোনালী ব্যাঙ্ক চত্বরে দুপুর ১টার দিকে সমাবেশ শুরু হয়৷ তিনি বলেন, ‘জনসমর্থন নেই বুঝতে পেরে সরকার তত্ত্বাবধায়ক সরকার বাতিল করে দিয়েছে৷ কিন্তু জনগণের ন্যায়সঙ্গত দাবি উপেক্ষা করা যায় না৷’ খালেদা জিয়ার নিঃশর্ত মুক্তি, নির্বাচনকালীন তত্ত্বাবধায়ক সরকার, জ্বালানি তেল, চাল-ডালসহ নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যমূল্য বৃদ্ধি, পুলিশ ও সন্ত্রাসীদের গুলিতে হত্যা, হামলা এবং মিথ্যা মামলার প্রতিবাদে আজ শনিবার এই বিভাগীয় সমাবেশ করে বিএনপি৷
দুই সপ্তাহ আগে চট্টগ্রামের পলোগ্রাউন্ডে সমাবেশের মধ্য দিয়ে বিভাগীয় সমাবেশ শুরু করে বিএনপি৷ জ্বালানি তেল ও নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের অস্বাভাবিক মূল্যবৃদ্ধি, দলীয় কর্মসূচিতে গুলি করে নেতা-কর্মীদের ‘হত্যার' প্রতিবাদ, নির্বাচনকালীন নির্দলীয় সরকারের দাবিতে বিভাগীয় (দলের সাংগঠনিক বিভাগ) পর্যায়ে সমাবেশের কর্মসূচি দিয়েছে বিএনপি৷
খুলনার এই সমাবেশে সভাপতিত্ব করেন মহানগর বিএনপির আহ্বায়ক এস এম শফিকুল আলম মনা৷ বিশেষ অতিথি ছিলেন- বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য খন্দকার মোশাররফ হোসেন, গয়েশ্বর চন্দ্র রায়, ভাইস চেয়ারম্যান নিতাই রায় চৌধুরী, শামসুজ্জামান দুদু প্রমুখ৷
বাধা ও সংঘর্ষ
তার আগে সমাবেশ স্থলে আসার পথে বিএনপির নেতা কর্মীদের বাধা দেওয়ার খবর প্রকাশ করেছে বাংলাদেশের গণমাধ্যমগুলো৷ প্রথম আলোর এক খবরে বলা হয়, দুপুরের পর থেকে খুলনা নগরের বিভিন্ন মোড়ে অবস্থান নিয়েছেন আওয়ামী লীগ ও যুবলীগের নেতা-কর্মীরা৷ কোনও কোনও এলাকায় মহড়া দিতে দেখা গিয়েছে তাদের৷ এ সময় বিএনপির নেতা-কর্মীদের মারধর করারও অভিযোগ পাওয়া গিয়েছে৷
অন্যদিকে বেলা ১২টার দিকে খুলনা রেলস্টেশন এলাকায় পুলিশ ও বিএনপি নেতা-কর্মীদের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে৷ ওই সংঘর্ষের সময় রেলস্টেশনে ভাঙচুর করা হয়েছে৷ বিএনপির সমাবেশে আগত ব্যক্তিদের বাধা দেওয়াকে কেন্দ্র করে ওই সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে বলে জানা গিয়েছে৷ সমাবেশে ‘আওয়ামী লীগের নেতাকর্মী ও আইনশৃখলা বাহিনীর বাধার' ব্যাপারে মির্জা ফখরুল বলেন, ‘সব বাধা উপেক্ষা করে হাজার হাজার নেতা-কর্মী সমাবেশে যোগ দিয়েছেন৷ খুলনাবাসী অসাধ্য সাধন করেছেন৷’