ভালবাসা যদি না থাকে, তাহলে দুজনকে আইনি চুক্তিতে বেঁধে রাখা অর্থহীন। সম্প্রতি বিবাহ বিচ্ছেদের মামলার রায় দিতে গিয়ে এই কথাই জানিয়ে দিল দিল্লি হাই কোর্ট।
২০১০ সালে উত্তর প্রদেশের আর্য সমাজ মন্দিরে বিয়ে হয়েছিল এক দম্পতির। বিয়ের পর স্বামী মেয়েটিকে ছেড়ে কানাডা চলে যায়। বেশ কয়েক বছর বাদে কিছুদিনের জন্য আসতেন স্ত্রীর কাছে। এসে স্ত্রীর সঙ্গে বাজে ব্যবহার করতেন। শেষ পর্যন্ত মামলা গড়ায় আদালত পর্যন্ত। প্রথমে ফ্যামিলি কোর্ট তরুণীর করা বিবাহ বিচ্ছেদের আবেদনটি খারিজ করে দেয়।
এরপর মামলাকারী দিল্লি হাই কোর্টের দ্বারস্থ হন। সেই মামলাতেই বিচারপতি বিপিন সিঙভি ও বিচারপতি জসমীত সিংয়ের ডিভিশন বেঞ্চ জানায়, বিয়ের উদ্দেশ্যই হল দুটি আত্মার মিলন। সেখানে দুজন দুজনের সঙ্গে অভিজ্ঞতা ভাগ করে নেন। হাসি, কান্না, আবেগ উচ্ছ্বাস সবকিছুই দুজনের সঙ্গে শেয়ার করেন। এমনকি জীবনে চলার পথে বিভিন্ন সমস্যাও তাঁরা একে অপরের সঙ্গে শেয়ার করেন। সেই অনুভূতিগুলিই তাঁদের দুজনের মধ্যে সম্পর্কের সম্পদ। সেই অনুভূতিগুলিই যদি না থাকে, তাহলে সেই বিয়ে আইনি চুক্তি ছাড়া আর কিছুই নয়।
এদিন আদালতের তরফে জানানো হয়েছে, বিয়ে ও একসঙ্গে থাকার বিষয়টি গুরুত্ব দেয়নি স্বামী। এসবই মেয়েটির প্রতি মানসিক নির্যাতন। ফলে এই বিয়ে ভেঙে দেওয়া যেতে পারে। এই প্রসঙ্গে আদালত জানিয়েছে, এই মামলায় দেখা গিয়েছে, বিয়ের কয়েকদিন পর থেকে একসঙ্গে থাকেননি স্বামী ও স্ত্রী। স্ত্রীকে শুধু ব্যবহারই করেছেন। পাশাপাশি স্ত্রীর অভিযোগ, তাঁর স্বামী তাঁর বাড়ির লোকজনের সঙ্গেও খারাপ আচরণ করেছেন।