‘ত্রিপুরায় কোনও হিংসা হবে না।’ কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ এমনই আশ্বাস দিয়েছেন বলে দাবি করলেন তৃণমূল কংগ্রেস সাংসদরা। তাঁদের দাবি, সেই আশ্বাসের পরও যদি না ত্রিপুরার হিংসায় লাগাম পড়ে, তাহলে বুঝতে হবে যে শাহের কথা শুনছেন না বিজেপি-শাসিত রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী বিপ্লব দেবে।
সোমবার সকালেই ত্রিপুরার ঘটনা নিয়ে শাহের সঙ্গে দেখা করতে চেয়ে সময় চান তৃণমূলের রাজ্যসভার সাংসদ ডেরেক ও’ব্রায়েন। কিন্তু তৃণমূলের তরফে দাবি করা হয়, সাক্ষাতের সময় দেননি শাহ। তারপরই কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রক তথা নর্থ ব্লকের বাইরে ধরনায় বসে পড়েন তৃণমূল সাংসদরা। দেওয়া হতে থাকে ‘খেলা হবে’ স্লোগান। তৃণমূলের তরফে দাবি করা হয়, কমপক্ষে ১২ বার শাহের সঙ্গে দেখা করার জন্য আর্জি জানানো হয়। কিন্তু অনুমতি মেলেনি। সেই পরিস্থিতিতে লাগাতার বিক্ষোভ দেখাতে থাকেন তৃণমূল সাংসদরা।
পরে বিকেলের দিকে তৃণমূলের প্রতিনিধিদলের সঙ্গে দেখা করতে রাজি হন শাহ। তৃণমূলের তরফে দাবি করেন, কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের প্রতিমন্ত্রী নিত্যানন্দ রাই ফোন করে জানান যে শাহ তাঁদের সঙ্গে দেখা করবেন। তারপরই দিল্লিতে শাহের বাসভবনে চলে আসে তৃণমূলের প্রতিনিধিদল। সেই বৈঠকের পর তৃণমূল প্রতিনিধিদলের তরফে কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায় জানান, স্মারকলিপি জমা দেওয়া হয়েছে। আলোচনা হয়েছে ত্রিপুরার বিষয়ে। শাহ আশ্বাস দিয়েছেন যে ত্রিপুরায় কোনও হিংসা হবে না। বিষয়টি খতিয়ে দেখবেন। বিপ্লবের সঙ্গে কথা বলবেন বলে জানিয়েছেন। বিপ্লবের থেকে রিপোর্টও তলব করেছেন বলে দাবি করেছেন কল্যাণ।
শ্রীরামপুরের তৃণমূল সাংসদ বলেন, 'কীভাবে আমাদের নেতাদের গ্রেফতার করা হয়েছে এবং সাংসদদের মারধর করা হযেছে, সে বিষয়ে বিস্তারিতভাবে জানিয়েছি। উনি জানিয়েছেন যে গতকালই (রবিবার) ত্রিপুরার মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে কথা বলেছেন এবং রাজ্যের থেকে রিপোর্ট তলব করবেন।' সেইসঙ্গে তৃণমূল সাংসদের বক্তব্য, তৃণমূলের বক্তব্য, তারপরও হিংসা না কমলে বুঝতে হবে যে শাহের কথা শুনছেন না বিজেপি-শাসিত রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী।