ভারতের টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ জয়ের নেপথ্যেও তিনি ছিলেন। এমনই দাবি করলেন ‘আইআইটি বাবা’ অভয় সিং। সংবাদমাধ্যম টাইমস নাও নবভারতের সাক্ষাৎকারে মহাকুম্ভের ভাইরাল ‘আইআইটি বাবা’ দাবি করেন, বিশ্বকাপ ফাইনালে যাতে হার্দিক পান্ডিয়ার হাতে বল তুলে দেওয়া হয়, সেজন্য ভারতের অধিনায়ক রোহিত শর্মাকে বারবার বলছিলেন। কিন্তু রোহিত কিছুতেই নিজের ডেপুটিকে বল দিচ্ছিলেন না। পরে হার্দিককে বল দেওয়া হতেই টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের মোড় ঘুরে গিয়েছিল। ভারত ১৩ বছর পরে কোনও আইসিসি খেতাব জয়ের জন্য স্বাদ পায় বলে দাবি করেন ‘আইআইটি বাবা’। তিনি দাবি করেন, পুরোটাই সিগন্যাল, তরঙ্গ, ক্যামেরা, শক্তির খেলা। আর সেই ‘ম্যাজিকের’ কারণেই তিনি বিশ্বের অন্যপ্রান্তে বসেও বার্বাডোজের কেনসিংটন ওভালে থাকা রোহিতকে যে ‘সিগন্যাল’ পাঠাচ্ছিলেন, সেটা ভারতীয় অধিনায়ক নিজের সামনেই দেখতে পাচ্ছিলেন।
আর যে ‘আইআইটি বাবা’ সেই দাবি করেছেন, তিনি গত কয়েকদিন পরে ভাইরাল হয়ে গিয়েছেন। তাঁর অসংখ্য ভিডিয়ো সোশ্যাল মিডিয়ায় ছড়িয়ে পড়েছে। আইআইটি থেকে পড়াশোনার পরে সাধুর জীবন বেছে নিয়েছেন বলে দাবি করেন। সবমিলিয়ে তাঁর নাম হয়ে যায় ‘আইআইটি বাবা’। আর তারইমধ্যে ওই সাক্ষাৎকারে তিনি যা মন্তব্য করেছেন, তা নিয়ে কটাক্ষ শুরু করেছেন নেটিজেনদের একাংশ।
সাংবাদিক ও ‘আইআইটি বাবা’-র কথোপকথনের একাংশ
সাংবাদিক: ক্রিকেট দেখেন আপনি?
‘আইআইটি বাবা’: হ্যাঁ, দেখেছিলাম আমি.....। কিছুটা জিতিয়েও দিয়েছিলাম। বড় ক্রিকেটার তিনিই....।
সাংবাদিক: এখানে বসে আপনি জিতিয়েও দিতে পারেন?
‘আইআইটি বাবা’: হ্যাঁ (একরাশ হাসি)। টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপেও আমি করেছিলাম। আমি ওকে (ভারতীয় অধিনায়ক রোহিত শর্মা) বারবার বলছিলাম যে আরে ভাই, হার্দিককে বল দে, হার্দিককে বল দে। কিন্তু বল দিচ্ছিল না ও।
সাংবাদিক: লোকজন যখন শুনবেন, তখন বলবেন না যে বাবা কী উলটো-পালটা বলছেন। এখানে বসে উনি কীভাবে (টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ) জিতিয়ে দিলেন? আপনি তো ড্রেসিংরুমে ছিলেন না।
‘আইআইটি বাবা’: তো আমি উপায়টা বলছি।
সাংবাদিক: কী উপায়?
‘আইআইটি বাবা’: এখানে বসে কীভাবে সেটা করতে পারেন? মানে এখানে বসে আপনাকে সিগন্যাল পাঠাতে হবে। ওই সেই সিগন্যাল লাইভ আসছে। তো আপনি বিষয়টা বুঝুন। বিষয়টা একই। একই শক্তি, যা এই রূপে আসছে। তারপর তরঙ্গ আকারে বাতাস দিয়ে গিয়ে কোনও টাওয়ারে পৌঁছে যাচ্ছে। ওই টাওয়ারে কীভাবে পৌঁছাল? ওখানে যে ক্যামেরা ছিল, তা শক্তিকে শুষে নেয়। তাই কোথাও না কোথাও গিয়ে আপনি বিষয়টা নিজের সামনেই দেখতে পাচ্ছেন। মাঝে শুধু তথ্যের পরিবর্তন হচ্ছে। কোড, ডিকোড হচ্ছে। এই রূপে কোড হবে, তারপর ওই রূপে ডিকোড হবে।
‘বাবাজি, চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিতেও এরকম করুন’
আর সেই কথোপকথনের ভিডিয়ো টুইট করে এক নেটিজেন বলেছেন, '২০২৪ সালের টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ জিততে ভারতকে কে সাহায্য করেছিলেন? রোহিত শর্মা না। বিরাট কোহলি না। জসপ্রীত বুমরাহ না। হার্দিক পান্ডিয়া না। এই মানুষটা।' একজন আবার মজা করে বলেছেন, 'আপনার প্রতি পূর্ণ সমর্থন আছে বাবাজি। চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিটাও (আগামী ১৯ ফেব্রুয়ারি থেকে শুরু হবে) এভাবে ঘরে নিয়ে আসুন।'
আরও পড়ুন: Mahakumbh Mela 2025: লাখ টাকার চাকরি ছেড়ে সন্ন্যাস গ্রহণ, মহাকুম্ভে হাজির IIT বাবা
সেই টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ
সেটা রোহিত পারবেন কিনা, তা সময় বলবে। তবে অধিনায়ক হিসেবে তাঁর জেতা প্রথম আইসিসি ইভেন্টের ফাইনালে হার্দিকের ভূমিকা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ছিল। কারণ ১৭ তম ওভারে যখন হার্দিকের হাতে বল তুলে দিয়েছিলেন রোহিত, তখন জয়ের জন্য দক্ষিণ আফ্রিকার দরকার ছিল ২৪ বলে ২৬ রান। হাতে ছিল চার উইকেট। ২৬ বলে ৫২ রানে খেলছিলেন ফাইনালের নায়ক হতে চলা হেনরিখ ক্লাসেন।
আরও পড়ুন: IIT Baba: 'বাবা, বাড়ি ফিরে এসো!' কুম্ভের সেই আইআইটি সন্ন্যাসীকে অনুরোধ পরিবারের, জবাব কী এল?
সেই অবস্থায় ১৭ তম ওভারের প্রথম বলেই ক্লাসেনকে আউট করে দিয়েছিলেন হার্দিক। সেখান থেকে ভারতের দুর্দান্ত বোলিংয়ের কারণে হেরে যায় দক্ষিণ আফ্রিকা। বিশ্বকাপ জিতে যায় ভারত।