একটি অ্যান্টিভাইরাল সুরক্ষা কিট তৈরি করল ইন্ডিয়ান ইনস্টিটিউট অফ টেকনোলজি দিল্লির দুটি স্টার্টআপ। এই সুরক্ষা কিটে হ্যান্ড স্যানিটাইজার এবং মাস্কের মতো প্রয়োজনীয় জিনিসগুলির সঙ্গে একটি অ্যান্টি-ভাইরাল লোশন এবং টি-শার্ট রয়েছে।
টি-শার্টের জন্য ব্যবহৃত অ্যান্টিভাইরাল ফ্যাব্রিক এমন ভাবে ডিজাইন করা হয়েছে যে,তার সংস্পর্শে এলেই অণুজীব ধ্বংস হবে। এটি সংক্রমণ হ্রাস করতে সাহায্য করে।গবেষকরা জানিয়েছেন, ব্যাকটেরিয়া এবং ভাইরাসের বিরুদ্ধে ফ্যাব্রিকটি ৯৫% এরও বেশি কার্যকর।
নভেল করোনাভাইরাস শ্বাস-প্রশ্বাসে জলকণার মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ে এবং যে কোনও জায়গায় থিতু হতে পারে। অন্য কোনও ব্যক্তি তার সংস্পর্শে এলে চোখ, নাক এবং মুখের মাধ্যমে শরীরে সংক্রমণ ঘটতে পারে।
গবেষকদের দাবি, টি-শার্টের অ্যান্টি-মাইক্রোবিয়াল বৈশিষ্ট্যগুলি হালকা অবস্থায় ৩০ বার ধোয়ার পরেও কার্যকর থাকে। তাই কোভিড অতিমারী রুখতে এই বহুমুখী অ্যান্টি-ভাইরাল এবং মাইক্রোবিয়াল পোশাক খুবই কার্যকর।
টেক্সটাইল অ্যান্ড ফাইবার ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগে অধ্যাপক বিপিন কুমার জানিয়েছেন, স্থানীয় সংস্থার মাধ্যমে এই জীবাণু-রহিত কাপড় থেকে পোশাক তৈরি করলে সুলভে জৈব পোশাকের বিকাশও ঘটবে। পাশাপাশি, স্থানীয় ক্ষুদ্র পোশাক নির্মাতাদের উৎসাহিতও করবে।
এমনকোভিড পরিস্থিতিতে এমনই আর এক গুরুত্বপূর্ণ পণ্য বাজারে এনেছে স্টার্টআপ সংস্থা ক্লেনস্ট্রা। তাদের তৈরি ভাইরাস নাশক লোশন ২৪ ঘণ্টা পর্যন্ত ৯৯.৯% ভাইরাস সুরক্ষা সরবরাহ করতে সক্ষম বলে দাবি সংস্থার।
পরিবেশ এবং স্বাস্থ্যের ক্ষতি না করে ব্যাকটিরিয়া, ভাইরাল এবং ছত্রাকের সংক্রমণ রোধ করতে দীর্ঘস্থায়ী অ্যান্টিভাইরাল প্রযুক্তি ব্যবহার করে পণ্যটি তৈরি হয়েছে। নির্মাতাদের দাবি, এই লোশন ব্যবহারের ফলে বার বার সাবান দিয়ে হাত ধোয়া এবং ঘন ঘন স্যানিটাইজার ব্যবহার করার প্রয়োজনীয়তা কমে। শরীরের যে কোনও অংশে ব্যবহার করা যেতে পারে এই লোশন।