আইআইটি গুয়াহাটির অন্দরে হস্টেলে ছাত্র মৃত্যুর ঘটনায় উত্তাল ক্যাম্পাস। পড়ুয়ারা ক্ষোভে ফুঁসছে কর্তৃপক্ষকে ঘিরে। তাঁদের দাবি, শিক্ষা প্রতিষ্ঠানটির জন্য গ্রেড অনেক বেশি মূল্যবান পড়ুয়াদের প্রাণের থেকে। চলতি বছরে এই নিয়ে ৪ পড়ুয়ার মৃত্যুর ঘটনা ঘটল আইআইটি গুয়াহাটিতে। সদ্য ঘটে যাওয়া মৃত্যুর ঘটনায় পড়ুয়ারা অভিযোগ তুলছেন, মৃতদেহ দেখা মাত্রই হস্টেল রুমের দরজা ভেঙে সেখান ঝুলন্ত অবস্থা থেকে দেহকে নামাতে দেওয়া হয়নি পড়ুয়াদের। অনেকেরই অভিযোগ, ‘তিনি বেঁচে আছেন কি না তা ওঁদের (কর্তৃপক্ষ) চিন্তার বিষয় ছিল না।’
সংবাদমাধ্যম এনডিটিভির খবর অনুযায়ী, পড়ুয়ারা দাবি করেছেন, চোখের সামনে তাঁদের সহপাঠীকে ঝুলতে দেখলেও, তাঁদের দরজা ভেঙে ওই পড়ুয়াকে উদ্ধার করতে দেওয়া হয়নি। পড়ুয়াদের একজন বলছেন,' ভেন্টিলেটর দিয়ে দেখলাম আমার বন্ধু ফ্যানের সাথে ঝুলছে। গার্ডরা আমাদের দরজা ভাঙতে বাধা দেন।' তাঁদের দাবি, অনেকক্ষণ পর দরজা খোলা হয়। ওই পড়ুয়া বলছেন,' তিনি বেঁচে আছেন কি না তা ওঁদের (কর্তৃপক্ষ) চিন্তার বিষয় নয়।' পড়ুয়া বলছেন,' আমরা তাঁকে হারালাম। তবে তাঁর দেহ ঝুলন্ত অবস্থায় সারা রাত ছিল, দেহ ৮ ঘণ্টা ওভাবে থাকার পর তা নামানো হয়।' পড়ুয়াদের অভিযোগ, কর্তৃপক্ষের কথা শুনে দায়িত্বে থাকা গার্ডরা দেহ নামাতে দেননি। আরও এক বিস্ফোরক দাবিতে পড়ুয়ারা বলছেন,' হোস্টেল অ্যাফেয়ার্স বোর্ডের ডিন ও চেয়ারপার্সন এসে ছাত্রের পরিবারকে মৃত ছাত্রের কথা জানাতে বাধা দেন এবং পরিস্থিতির ভিডিও প্রমাণ মুছে ফেলার চেষ্টা করেন।'
এই সমস্ত ধরনের অভিযোগ ঘিরে কর্তৃপক্ষের তরফে এখনও মুখ খোলা হয়নি। জানা গিয়েছে, মৃত পড়ুয়া উত্তর প্রদেশের বাসিন্দা। একটি বিবৃতিতে, শিক্ষা প্রতিষ্ঠানটির মুখপাত্র বলেছেন যে, IIT-G, ছাত্রের মৃত্যুতে গভীরভাবে শোকাহত এবং তাঁর পরিবার এবং বন্ধুদের প্রতি সমবেদনা জানিয়েছে। গোটা ক্যাম্পাস জুড়ে এই ঘটনার তীব্র প্রতিবাদ চলছে। মানসিক স্বাস্থ্য এবং কল্যাণ সহায়তা ব্যবস্থার কার্যকারিতা নিয়ে কর্তৃপক্ষকে কাঠগড়ায় দাঁড় করিয়েছেন পড়ুয়ারা। প্রয়াত পড়ুয়ার দেহ ময়নাতদন্তের জন্য গৌহাটি মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।