লেহ-তে ট্রেকিংয়ে গিয়ে মৃত্যু হল আইআইটি কানপুরের এক সহকারী অধ্যাপকের। মৃত অধ্যাপকের নাম কানওয়ার সিং নালওয়া (৫৫)। গত বুধবার ট্রেকিংয়ের সময় তাঁর শ্বাসকষ্ট শুরু হয়। আশঙ্কাজনক অবস্থায় তাঁকে স্থানীয় হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলে চিকিৎসকরা মৃত ঘোষণা করেন। চিকিৎসকরা জানিয়েছেন, হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে মৃত্যু হয়েছে অধ্যাপকের। বৃহস্পতিবার অধ্যাপকের মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করে শোক প্রকাশ করেছে আইআইটি কর্তৃপক্ষ।
আরও পড়ুন: উত্তরাখণ্ডে ট্রেকিং করতে গিয়ে শ্বাসকষ্টজনিত সমস্যা! মৃত্যু কসবার মহিলার
আইআইটি সূত্রের খবর, দেরাদুনের বাসিন্দা কানওয়ার শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের অপ্রচলিত শক্তি বিভাগের সহকারী অধ্যাপক ছিলেন। তিনি পদার্থ বিজ্ঞানের অধ্যাপক শিবম ত্রিপাঠি এবং রাসায়নিক বিজ্ঞানের অধ্যাপক নীতিন কায়স্থের সঙ্গে কয়েকদিন আগে সরকারি কাজে আইআইটি রোপারে গিয়েছিলেন। আইআইটি রোপারের অনুষ্ঠানে অংশ নেওয়ার পরে তিনজন লেহ-তে ট্রেকিংয়ের জন্য রওনা দেন। কিন্তু, ট্রেকিং করার সময় ঘটে বিপত্তি। হঠাৎ শ্বাসকষ্টের সমস্যা হয় অধ্যাপকের।
অবস্থা বেগতিক বুঝে তাঁকে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। কিন্তু, সেই পথেই তাঁর মৃত্যু হয়।আইআইটি কানপুর কর্তৃপক্ষ সোশ্যাল মাধ্যমে অধ্যাপকের মৃত্যুর খবর জানিয়ে শোক প্রকাশ করেছেন। কানওয়ারের পরিবারে তাঁর স্ত্রী ও কন্যা রয়েছেন। আইআইটি কানপুরের ডিরেক্টর অধ্যাপক মণীন্দ্র আগরওয়াল এবং ডেপুটি ডিরেক্টর অধ্যাপক ব্রিজ ভূষণ তাঁর মৃত্যুতে শোক প্রকাশ করেছেন।
এদিকে, আধার কার্ড না প্রথমের দিকে না পাওয়ায় অধ্যাপকের দেহ বাড়িতে পৌঁছে দেওয়া নিয়ে সমস্যা দেখা দেয়। পরে বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় আইআইটি কানপুরের আধিকারিকরা লেহ- এর প্রশাসনিক আধিকারিকদের কাছে তাঁর আধার কার্ড পাঠান। তারপর শুক্রবার তাঁর মৃতদেহ দেরাদুনের বাড়িতে নিয়ে যাওয়া হয়।
আইআইটি কানপুরের আধিকারিকরা জানাচ্ছেন, অধ্যাপক কানওয়ার নিজেও আইআইটি কানপুর থেকে বিটেক সম্পন্ন করেছিলেন। বর্তমানে সৌর শক্তি নিয়ে গবেষণা করছেন। তাঁর সহকর্মী এবং গবেষণাগত ছাত্রদের মতে, কানওয়ার খুব ভালো মনের মানুষ ছিলেন। তিনি তাঁর স্ত্রী ও কন্যাকে বলেছিলেন তিনি শীঘ্রই তাঁদের সঙ্গে বেড়াতে যাবেন। কিন্তু, তা আর হল না।
উল্লেখ্য, এর আগে গত বছরের ডিসেম্বরে আইআইটি কানপুরের সমীর খান্দেকর নামে একজন অধ্যাপক ক্যাম্পাসেই একটি অনুষ্ঠানে বক্তৃতা দেওয়ার সময় হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে মারা গিয়েছিলেন। তিনি হঠাৎ মঞ্চে অসুস্থ হয়ে পড়েছিলেন। তাঁকে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলে চিকিৎসকরা মৃত ঘোষণা করেছিলেন। আইআইটি কর্তৃপক্ষ জানাচ্ছেন, দুই অধ্যাপকের মৃত্যু আইআইটি কানপুরের জন্য বিরাট ক্ষতি।