অনলাইনে দড়ি অর্ডার করেছিলেন। আর সেই দড়ি গলায় জড়িয়ে আত্মঘাতী হলেন কানপুর আইআইটির এক গবেষক ছাত্রী। ২৮ বছর বয়সী ওই ছাত্রীর নাম প্রগতি খারিয়া। তিনি আর্থ সাইন্সে পিএইচডি করছিলেন। বৃহস্পতিবার তাঁর হোস্টেলের ঘরে তাঁকে ঝুলন্ত অবস্থায় দেখতে পান সহপাঠীরা। তড়িঘড়ি তাঁকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলে চিকিৎসকরা মৃত ঘোষণা করেন। ঘটনাকে কেন্দ্র করে ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়ায় হোস্টেল চত্বরে।
আরও পড়ুন: চুরির অভিযোগে স্কুলেই বিবস্ত্র করে চালানো হল তল্লাশি, অপমানে আত্মঘাতী ছাত্রী
পুলিশ জানিয়েছে, প্রগতি খারিয়া হস্টেলের ঘরের সিলিং হুক সঙ্গে দড়ি বেঁধে গলায় জড়িয়ে আত্মঘাতী হয়েছেন। এক তদন্তকারী অফিসার জানান, ওই দড়িটি তিনি অনলাইনে অর্ডার করেছিলেন। সেটি ডেলিভারি হওয়ার পরেই ছাত্রী এই কাণ্ড ঘটান। যে প্যাকেটটিতে দড়ি সরবরাহ করা হয়েছিল সেটি ঘরের এক কোণে পাওয়া গিয়েছে। দড়িটি নিজেদের হেফাজতে নিয়েছে পুলিশ।
প্রতিষ্ঠান সূত্রে জানা যায়, বৃহস্পতিবার সকালে প্রগতি ক্লাসে না যাওয়ার তাঁর সহপাঠীরা তাঁর সঙ্গে মোবাইলে যোগাযোগ করলেও কোনও সাড়া পাননি। পরে তাঁরা হস্টেলে গিয়ে দেখেন ঘরের দরজা ভিতর থেকে বন্ধ। সঙ্গে সঙ্গে তারা আইআইটি কর্তৃপক্ষকে জানান । খবর দেওয়া হয় পুলিশকে। পরে পুলিশ এসে প্রগতির ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার করে। ঘটনাস্থল থেকে একটি সুইসাইড নোট উদ্ধার করেছে পুলিশ। তাতে তিনি চরম পদক্ষেপের কথা লিখেছেন।।এর জন্য কাউকে দায়ী করেননি।
ঘটনস্থল থেকে একটি মোবাইল ফোনও পাওয়া গিয়েছে। সেটি পুলিশকে তদন্তে সাহায্য করতে পারে। মৃতদেহটি ময়না তদন্তের জন্য পাঠানো হয়েছে। এছাড়াও খবর পেয়ে প্রগতির পরিবারের সদস্যরা আইআইটি ক্যাম্পাসে পৌঁছন। একটি বিবৃতি জারি করে এই ঘটনায় শোক প্রকাশ করেছে আইআইটি কর্তৃপক্ষ। প্রতিষ্ঠানের তরফে বলা হয়েছে, পুলিশকে তারা তদন্ত সব রকম ভাবে সাহায্য করবে একজন মেধাবী গবেষককে হারিয়ে প্রতিষ্ঠানের ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে।
এবিষয়ে কল্যাণপুরের সহকারী পুলিশ কমিশনার অভিষেক পান্ডে বলেন, ‘আত্মহত্যার খবর পেয়ে পুলিশ সেখানে ছুটে যায় এবং দেখতে পায় প্রগতির ঘরের দরজা ভেতর থেকে বন্ধ। দরজা ভেঙে তারা সিলিং ফ্যান থেকে ঝুলন্ত অবস্থায় প্রগতির দেহ দেখতে পায়। তারপর তাঁকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলে চিকিৎসকরা মৃত ঘোষণা করেন। ইতিমধ্যেই ঘটনাস্থল থেকে ফরেন্সিক দল নমুনা সংগ্রহ করেছে।
এদিকে, এই মৃত্যুর ঘটনায় শোকের ছায়া নেমেছে ছাত্রীর পরিবারে। প্রগতির ভাই সত্যম জানান, সকালে যখন তাঁর সঙ্গে ফোনে কথা হয় তখন তিনি স্বাভাবিক ছিলেন। তিনি জানান, বোন যে এই ধরনের চরম পদক্ষেপ নেবেন তা তাদের ধারণা ছিল না।