IIT Roorkee ডিরেক্টর ও ৪ কর্তার বিরুদ্ধে আর্থিক কারচুপির অভিযোগ প্রাক্তন কর্মীর

অভিযোগ, কয়েক কোটি টাকার অনুদান ও বিশ্ববিদ্যালয়ের অন্যান্য তহবিলের অর্থ নিজেদের ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে সরিয়ে ফেলেন ৫ কর্তা।

IIT Roorkee-র ডিরেক্টর ও একাধিক আধিকারিকের বিরুদ্ধে আর্থিক কারচুপির অভিযোগে তদন্তের নির্দেশ দিল আদালত।

বৃত্তি, কেন্দ্রীয় সরকারের অনুদান এবং প্রাতিষ্ঠানিক নির্মাণ খাতে ‘অর্থনৈতিক কারচুপির’ অভিযোগে হরিদ্বারের আইআইটি রুরকি-র (IIT Roorkee) ডিরেক্টর ও একাধিক আধিকারিকের বিরুদ্ধে তদন্তের নির্দেশ দিল রুরকির অতিরিক্ত মুখ্য বিচারবিভাগীয় বিচারপতির আদালত। 

বুধবার প্রাক্তন আইআইটি কর্মী মণিপাল শর্মার দায়ের করা অভিযোগের শুনানিতে এই নির্দেশ দেয় আদালত। অভিযোগ, আইআইটি ডিরেক্টর অজিত কুমার চতুর্বেদী, আইআইটি-র স্পনসর্ড রিসার্চ অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রিয়াল কনসাল্টেনসি-র (SRIC) ডিন মনীষ শ্রীখণ্ডে, SRIC-র অ্যাসিসট্যান্ট রেজিস্ট্রার জিতেন্দ্র দিমরি, SRIC-র জুনিয়র অ্যাসিসট্যান্ট ধীরাজ উপাধ্যায় এবং SRIC-র ক্লার্ক রাজেশ কুমার কয়েক কোটি টাকার অনুদান ও বিশ্ববিদ্যালয়ের অন্যান্য তহবিলের অর্থ নিজেদের ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে সরিয়ে ফেলেন। 

আইআইটি রুরকি মিডিয়া সেল-এর প্রধান সোনিকা শ্রীবাস্তব এক বিবৃতিতে জানিয়েছেন, ‘ঘটনার তদন্তে নেমেছে পুলিশ এবং চলতি বছরের জুন মাসে অন্যতম অভিযুক্ত ধীরাজ উপাধ্যায়ের বিরুদ্ধে আইআইটি-র তরফে ১.০৫ কোটি টাকা তছরুপের অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে। অভিযুক্তকে ইতিমধ্যে জারা করেছে পুলিশ। তদন্তের বিষয়ে পুলিশকে সব রকম সাহায্য করছে বিশ্ববিদ্যালয়।’

মণিপাল শর্মার আবেদনে বলা হয়েছে, আইআইটি-তে ৩৭ বছর চাকরি করার পরে গত ৩১ জুলাই তিনি অবসর গ্রহণ করেন। তার আগে আইআইটি প্রশাসকদের কাছে বিষয়টি জানিয়ে তিনি ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য আর্জি জানালেও সেই বিষয়ে আমল দেওয়া হয়নি, বরং তাঁর সঙ্গে অভব্য আচরণ করা হয়। এর পরেই তিনি অভিযোগ নিয়ে আদালতের দ্বারস্থ হন। তিন পাতার অভিযোগপত্রের একটি কপি হিন্দুস্তান টাইমস-এর কাছে রয়েছে। 

তবে এখনও পর্যন্ত সংশ্লিষ্ট আইআইটি কর্তাদের বিরুদ্ধে কোনও অভিযোগ নথিভুক্ত হয়নি বলে জানিয়েছে রুরকি থানা। থানার স্টেশন হাউজ অফিসার রাজেশ শাহ জানিয়েছেন, ‘বৃহস্পতিবার আদালতের নির্দেশ পাওয়া গিয়েছে। নির্দেশ খতিয়ে দেখা হচ্ছে। খুব তাড়াতাড়ি আদালতের নির্দেশ পালন করা হবে।’