আমেরিকা থেকে ভারতে ফেরত পাঠানো হয়েছে শতাধিক অবৈধ অভিবাসীদের। তাদের মধ্যে থেকে ৩৩ জন ছিলেন গুজরাটি। এই ৩৩ জনকেই সরকারি গাড়ি করে নিজেদের বাড়িতে পাঠিয়ে দেওয়া হয়েছে বলে জানিয়ে দিল রাজ্য প্রশাসন। এই ৩৩ জনকে বাড়ি ফেরত পাঠানোর সময় তাদের সঙ্গে পুলিশও ছিল বলে জানিয়েছে সরকার। আমেরিকা থেকে এই ভারতীয়দের দেশের ফেরত পাঠানোর পরপরই মুখ্যমন্ত্রী ভূপেন্দ্র প্যাটেল ও স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী হর্ষ সাংঘভি ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের অন্যান্য সংস্থার সঙ্গে সমন্বয় করতে বলেছিলেন। দেশে ফেরত আসা ব্যক্তিদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করার নির্দেশ দিয়েছিলেন তাঁরা। (আরও পড়ুন: অশান্ত বাংলাদেশে কি হাসিনাকে ফেরত পাঠাবে ভারত? সংসদে জবাব দিল মোদী সরকার)
আরও পড়ুন: রতন টাটার উইলে সম্পত্তির ৫০০ কোটি পাবেন মোহিনী মোহন দত্ত, অবাক পরিবার
উল্লেখ্য, ভারতের ১০৪ অবৈধ অভিবাসীকে নিয়ে অমৃতসরে আসে আমেরিকার সামরিক বিমান। সেখানে সেই সব ভারতীয়দের পরিচয় পরীক্ষা করে যাবতীয় ইমিগ্রেশন ক্লিয়ারেন্স দেওয়া হয়। আমেরিকা থেকে ফেরত আসা গুজরাটিদের নিরাপত্তা ব্যবস্থা তদারকি এবং সমন্বয়ের জন্যে অমৃতসরে একজন ডিএসপি পদমর্যাদার অফিসারকে নিয়োগ করেন গুজরাট পুলিশের ডিরেক্টর জেনারেল বিকাশ সহায়। পরে সেখান থেকে আরও একটি বিমানে করে এই ৩৩ জন গুজরাটিকে নিয়ে যাওয়া হয় আহমেদাবাদে। বৃহস্পতিবার সকাল ৬টা ১০ মিনিটে আহমেদাবাদ বিমানবন্দরে অবতরণ করেন এই ৩৩ জন। আহমেদাবাদ বিমানবন্দরে তাঁদের যাতায়াতের তদারকি করতে হাজির ছিলেন পুলিশ মনোনীত নোডাল অফিসার। সেখানে পৌঁছানোর পর ৩৩ জনকে পুলিশের তত্ত্বাবধানে সরকারি গাড়িতে করে তাদের নিজ নিজ বাড়িতে নিয়ে যাওয়া হয়। (আরও পড়ুন: ‘সরকার এ ধরনের কর্মকাণ্ড…’ জ্বলছে বাংলাদেশ, গভীর রাতে 'ঘুম ভাঙল' ইউনুসের)
আরও পড়ুন: ২ বছর পর রেপো রেট নিয়ে বড় সিদ্ধান্ত RBI-এর, কমতে পারে EMI-এর বোঝা
এর আগে আমেরিকার সীমান্ত নজরদারি বাহিনীর প্রধান মাইকেল ব্যাঙ্কস অবৈধ ভারতীয় অভিবাসীদের ভিডিয়ো পোস্ট করেছিলেন। সেই ভিডিয়োয় দেখা গিয়েছে যে পায়ে চেন বেঁধে অবৈধ ভারতীয় অভিবাসীদের মার্কিন বায়ুসেনার সি-১৭ বিমানে ওঠানো হচ্ছে। হাত সামনের দিকে রাখা আছে। এভাবে ভারতীয় অবৈধবাসীদের আমেরিকা থেকে ফেরত পাঠানো প্রসঙ্গে সংসদে সম্প্রতি বিদেশমন্ত্রী এস জয়শংকর জানান, বিমানের মাধ্যমে অবৈধ অভিবাসীদের ফেরানোর যে নিয়ম আছে, তাতে বিধিনিষেধের ব্যাপার আছে। তবে আমেরিকার তরফে জানানো হয়েছে যে মহিলা এবং শিশুদের ক্ষেত্রে সেরকম কোনও পদক্ষেপ করা হয়নি। সেইসঙ্গে অবৈধ অভিবাসীদের খাবার ও অন্যান্য সুযোগ-সুবিধা প্রদান করতে হয়। প্রয়োজনে চিকিৎসা পরিষেবা প্রদান করা হয়ে থাকে। শৌচাগারে গেলে অবৈধ অভিবাসীদের উপরে কোনও বাধানিষেধ চাপানো হয় না। বুধবার যে বিমান এসেছে, তাতে যাবতীয় নিয়ম পালন করা হয়েছে বলে আমেরিকার তরফে দাবি করা হয়েছে।