এক এজলাস থেকে অন্য এজলাসে মামলা স্থানান্তরের সময় মানা হচ্ছে না বিধি। এই অভিযোগ তুলে এবার হাই কোর্টের বর্ষীয়ান আইনজীবীদের অনেকেই বয়কট করলেন ভারপ্রাপ্ত প্রধান বিচারপতি রাজেশ বিন্দলের এজলাস। এই ঘটনার প্রেক্ষিতে অবশ্য বার অ্যাসোশিয়েশন সংবাদমাধ্যমের সামনে মুখ খোলেনি।
উল্লেখ্য, মঙ্গলবার বৈঠকে বসেন কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়, অরুণাভ ঘোষের মতো বর্ষীয়ান আইনজীবীরা। তাঁরা সিদ্ধান্ত নেন, দুপুরের পর থেকে ভারপ্রাপ্ত প্রধান বিচারপতির এজলাসের কোনও শুনানিতে তাঁরা আর অংশ নেবেন না। বৈঠকে যোগ দেওয়া আইনজীবীদের অভিযোগ, সিঙ্গল বেঞ্চের মামলা যেভাবে ডিভিশন বেঞ্চে পাঠানো হচ্ছে, তা নজিরবিহীন। এছাড়া যেভাবে সব্যসাচী ভট্টাচার্যের রায় হাইকোর্ট প্রশাসন সুপ্রিম কোর্টে চ্যালেঞ্জ করেছে, তাও অভূতপূর্ব বলে অভিযোগ আইনজীবীদের।
এদিন দুপুর দুটোর পর থেকে ভারপ্রাপ্ত প্রধান বিচারপতি রাজেশ বিন্দলের এজলাসে চারটি মামলায় কোনও আইনজীবী অংশ নেননি। ভারপ্রাপ্ত প্রধান বিচারপতি রাজেশ বিন্দল এবং বিচারপতি রাজর্ষি ভরদ্বাজ বেশ কিছুক্ষণ এজলাসে থাকা সত্ত্বেও সেখানে আসেননি আইনজীবীরা। অবশ্য এর আগেই এক মামলার শুনানি চলাকালীন বিচারপতি রাজ বিন্দলকে নিজেদের সিদ্ধআন্তের কথা জানিয়ে গিয়েছিলেন আইনজীবীরা।
উল্লেখ্য, কয়েকদিন আগেই মামলা এক বেঞ্চ থএকে অন্য বেঞ্চে সরানোর বিষয়ে বিচারপতি রাজেশ বিন্দলের বিরুদ্ধে বিধি ভাঙার অভিযোগ এনেছিলেন বিচারপতি সব্যসারী ভট্টাচার্য। তিনি অভিযোগ করেছিলেন, তাঁকে না জানিয়ে ডিভিশন বেঞ্চে মামলা সরিয়েছেন ভারপ্রাপ্ত প্রধান বিচারপতি। পাশাপাশি ক্ষোভ প্রকাশ করে বিচারপতি সব্যসাচী বলেছিলেন, 'এই ধরনের ঔদ্ধত্য বিচার ব্যবস্থার পক্ষে স্বাস্থ্যকর নয়।'