এমনিতে রাজনৈতিকভাবে নরেন্দ্র মোদী এবং অমিত শাহের সঙ্গে তাঁর সম্পর্ক আদায়-কাঁচকলায়। সোমবার দিল্লিতে এসেছেন সেই মোদী-শাহ জুটিকেই প্যাঁচে ফেলার জন্য। তারইমধ্যে হালকা মেজাজে তৃণমূল কংগ্রেস সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বললেন, মোদীকে দেখে তাঁর হিন্দি বলার ধরন ভালো হয়েছে। শাহকে দেখে গুজরাতিও ভালো বলতে পারছেন।
বুধবার সাংবাদিকদের সঙ্গে আলোচনার মমতা বলেন, 'নরেন্দ্র মোদীকে দেখে হিন্দি ভালো হয়েছে। আর অমিত শাহকে দেখে গুজরাতি ভালো হয়ে গিয়েছে - কেম ছো, কেম ছো (কেমন আছেন)।'
বিধানসভা ভোটের আগে বাংলায় সভা করতে গিয়ে মোদী এবং শাহ বাংলায় যে কথা বলতেন, তা নিয়ে হামেশাই কটাক্ষ করতেন মমতা। শুধু রাজনৈতিক সভা নয়, বাংলার বিধানসভা নির্বাচনের আগে বিভিন্ন প্রশাসনিক অনুষ্ঠানেও একইভাবে বাংলা বলতেন মোদী। কখনও রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের কবিতার দু'লাইন বাংলায় শোনাতেন, কখনও আবার হিন্দিতে তর্জমা করে মনোমোহন বসুর কবিতা পাঠ করতেন। তাতে ‘ভুল’ উচ্চারণের রেশ ধরে ‘বহিরাগত’ তোপও দাগতেন মমতা।
গত বছর ডিসেম্বরে তেমনভাবেই নাম না করে মোদীকে কটাক্ষ করে বলেছিলেন, তিনি একাধিক ভাষায় কথা বলতে পারেন। কিন্তু সেজন্য তাঁকে ‘পাবলিসিটি’ করতে হয় না। মমতা বলেছিলেন, ‘বাংলাকে তো টার্গেট করবে। বাংলার ইলেকশন আসছে না। শুনুন, আমি গুজরাতি ভাষায় কথা বলতে পারি। আর আ্মি গুজরাতি ভাষা লিখে নেব আমার ভাষায়। আমি সেটা পড়ে বক্তৃতা দেব। আমি ভিয়েতনামের ভাষা জানি। হ্যাঁ। আমি যখন ভিয়েতনামে গিয়েছিলাম। তখন আমি ভিয়েতনামের ভাষা শিখেছিলাম। আর রাশিয়ার ভাষা কিছু জানি। কারণ আমি রাশিয়ায় গিয়েছি। আমি শিখেছি একটু। আমি নাগামিজ জানি। কারণ আমি নাগাল্যান্ডে অনেকদিন কাজ করেছি। আমি মণিপুরী ল্যাঙ্গুয়েজ (ভাষা) জানি, অসমিয়া ল্যাঙ্গুয়েজ (ভাষা) জানি, আমি ওড়িয়া ল্যাঙ্গুয়েজ (ভাষা) জানি, আমি পঞ্জাবি ল্যাঙ্গুয়েজ (ভাষা), আমি মারাঠি ল্যাঙ্গুয়েজ (ভাষা) জানি, আমি বাংলা জানি। আমি হিন্দি জানি, আমি উর্দু জানি, আমি গোর্খা জানি, আমি নেপালি জানি, তাই বলে এটা নিয়ে আমি কখনও গর্ব করি না। বরং আমি গর্ব করি, যদি তাঁদের কথা আমি একটু কথা বলতে পারি।’