পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান শনিবার চিনের প্রিমিয়ার লি কেকিয়াং এবং চিনের রাষ্ট্রীয় মালিকানাধীন এবং বেসরকারি সংস্থাগুলির শীর্ষ কর্তাদের সঙ্গে বৈঠক করেন। পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় অনুসারে, ইমরান খান দেশে চিনা সংস্থাদের বিনিয়োগ বাড়ানোর আবেদন জানান। পাকিস্তানের দাবি, ইমরানকে চিনা সংস্থার কর্তারা আশ্বাস দেন। বৈঠকে ইমরান খানের সঙ্গে তাঁর মন্ত্রিসভার সদস্য ও পাকিস্তানি প্রশাসনের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারাও ছিলেন। জানা গিয়েছে, চিনের থেকে পাকিস্তানের জন্য ঋণ আদায়ের জন্যও সেদেশের কর্তাদের সঙ্গে কথা বলেন ইমরান খান।
এমরান খান বেজিংয়ের শীতকালীন অলিম্পিকের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে যোগ দিতে এবং শীর্ষ চিনা নেতৃত্ব, রাজনৈতিক ও ব্যবসায়িকদের সাথে দেখা করতে চার দিনের সফরে চিনে রয়েছেন। পাকিস্তান-অধিকৃত কাশ্মীর মধ্য দিয়ে বিতর্কিত চিন-পাকিস্তান অর্থনৈতিক করিডোর প্রকল্পের দ্বিতীয় পর্যায়ের কাজ শুরু করতে তিনি শুক্রবার চিনের সাথে একটি নতুন চুক্তিও স্বাক্ষর করেছেন।
শনিবার পাক প্রধানমন্ত্রী চায়না এনার্জি ইঞ্জিনিয়ারিং কর্পোরেশন (সিইইসি), চায়না স্টেট কনস্ট্রাকশন ইঞ্জিনিয়ারিং কর্পোরেশন (সিএসসিইসি), পাওয়ার চায়না, ইস্ট সি গ্রুপ, চায়না রেলওয়ে গ্রুপ লিমিটেড (সিআরইসি), চায়না মেটালার্জিক্যাল গ্রুপ কর্পোরেশন (এমসিসি) এর শীর্ষ কর্তাদের সঙ্গে দেখা করেন। বেজিং সেঞ্চুরি ইন্ডাস্ট্রিয়াল ডেভেলপমেন্ট কোম্পানি লিমিটেড (CENTINCO) এবং চিনামেক্স গ্রুপের শীর্ষ কর্তারাও বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন। ইমরানকে জ্বালানি, পরিশোধন, পেট্রোকেমিক্যাল, অবকাঠামো উন্নয়ন, জল ব্যবস্থাপনা, তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি এবং আবাসন ক্ষেত্রে চলমান চিনা প্রকল্পের অগ্রগতি এবং ভবিষ্যতের বিনিয়োগ পরিকল্পনা সম্পর্কে জানানো হয় বৈঠকে।
প্রসঙ্গত, পাকিস্তানের উপর বাড়তে থাকা চাপ কমাতে ও বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভকে স্থিতিশীল করতে বেজিংয়ের কাছ থেকে আরও ঋণ পেতে চাইছে পাকিস্তান। দ্য এক্সপ্রেস ট্রিবিউনের প্রতিবেদন অনুযায়ী, ইমরান খান সরকার চিনের স্টেট অ্যাডমিনিস্ট্রেশন অফ ফরেন এক্সচেঞ্জে তিন বিলিয়ন ডলার অনুমোদনের জন্য চিনকে অনুরোধ করার কথা বিবেচনা করছে।