পাকিস্তানে ইমরান খানের নেতৃত্বাধীন সরকার সেই দেশে নিষিদ্ধ সন্ত্রাসী গোষ্ঠীর ওপর থেকে নিষেধাজ্ঞা তুলে নিতে এবং নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করার অনুমতি দিতে সম্মত হয়েছে। ইমরান সরকার নিষিদ্ধ তেহরিক-ই-লাব্বাইকের (টিএলপি) সঙ্গে এই বিষয়ে সমঝোতা করেছে। এই সংগঠনটি এই বছরের শুরু থেকে লাহোর থেকে রাজধানী ইসলামাবাদ পর্যন্ত মিছিল করার নামে আলোড়ন সৃষ্টি করেছিল। দীর্ঘদিন ধরে এই সংগঠনটি সরকারের বিরুদ্ধে আন্দোলন করে আসছে। এখন ইমরান সরকার এই সংগঠনের সাথে যুক্ত ২০০০ জঙ্গিকে জেল থেকে মুক্তি দিতে এবং তাদের নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করার অনুমতি দিতে সম্মত হয়েছে।
এই বছরের শুরু থেকে পাকিস্তানের রাস্তায় টিএলপি-র সহিংসতা ও অগ্নিসংযোগ অব্যাহত রয়েছে। প্রথমে ইমরান সরকার ক্ষিপ্ত হয়ে এই সংগঠনটিকে সন্ত্রাসী সংগঠন হিসেবে ঘোষণা করে। এর পর সংগঠনটির প্রধান সাদ রিজভীকে গ্রেপ্তার করা হয়। পরে সংগঠনের সঙ্গে যুক্ত প্রায় দুই হাজার ব্যক্তিকে জেলে পাঠানো হয়। কিন্তু এখন সেসব ধৃতদের ছেড়ে দিতে প্রস্তুত ইমরান খানের সরকার। বলা হচ্ছে, বিক্ষোভের ভয়ে পাক সরকার এমন সিদ্ধান্ত নিয়েছে। সরকার ও সংস্থার মধ্যে একটি সমঝোতা হয়েছে।
নাম প্রকাশ না করার শর্তে সংবাদ সংস্থা রয়টার্সকে এক টিএলপি কর্মী বলেন, 'সরকারের উদারতার বিনিময়ে টিএলপি পাকিস্তানে সহিংসতা ত্যাগ করবে।' শুধু তাই নয়, জানা গিয়েছে নবী মুহাম্মদের ব্যঙ্গচিত্র প্রকাশের ঘটনায় ফরাসি রাষ্ট্রদূতকে দেশের বাইরে পাঠানোর শর্তও প্রত্যাহার করবে টিএলপি।