অবশেষে উগ্র ইসলামপন্থীদের সামনে মাথা নত করতে বাধ্য হল ইমরান খানের সরকার। পাকিস্তানের রাস্তায় সহিংস প্রতিবাদ প্রদর্শনকারী তেহরিক-ই-লাব্বাইকের উপর থেকে তুলে নেওয়া হলনিষেধাজ্ঞা। আগেই চরমপন্থী সংগঠন তেহরিক-ই-লাব্বাইক পাকিস্তানের অনেক নেতাকে মুক্তি দেয় ইমরান খান সরকার। এবং এখন ইমরান খান এই সংগঠনের উপর থেকে নিষেধাজ্ঞা তুলে নিলেন। সরকার বিরোধী আন্দোলন শেষ করার জন্য উগ্র ইসলামপন্থীদের কাছে মাথা নত করেন প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান। শনিবার চরমপন্থী সংগঠন তেহরিক-ই-লাব্বাইক পাকিস্তানকে নিষিদ্ধ সংগঠনের তালিকা থেকে বাদ দেওয়ার অনুমতি দেন তিনি।
ফ্রান্সে প্রকাশিত ইসলাম ধর্মের অবমাননাকর কার্টুন ইস্যুতে ফরাসি রাষ্ট্রদূতকে বহিষ্কার করতে সরকারকে বাধ্য করার জন্য এই সংগঠন দীর্ঘ দিন ধরে সহিংস বিক্ষোভ দেখিয়েছিল। এরপর গত এপ্রিলে এই সংগঠনটিকে নিষিদ্ধ করা হয়েছিল। সংগঠনটি গত মাসে আবারও রাস্তায় নামে এবং সহিংস বিক্ষোভের পথে হাঁটে। এরপর সরকারের সাথে একটি চুক্তি হয় সংগঠনের। যদিও চুক্তির বিশদটি জনসমক্ষে আনা হয়নি। তবে তখনই বেশ কয়েকজন নেতার কথায় স্পষ্ট হয়েছিল যে সংগঠনের উপর থেকে নিষেধাজ্ঞা তুলে নেওয়ার কথা চুক্তিতে অন্তর্ভুক্ত রয়েছে।
টিএলপি কর্মী এবং আইন প্রয়োগকারী কর্মকর্তাদের মধ্যে ভয়াবহ সংঘর্ষে সাম্প্রতিক দিনগুলিতে ১০ জন পুলিশ সহ অন্তত ২১ জন প্রাণ হারিয়েছেন। এই আবহে পঞ্জাব সরকারের স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় একটি রিপোর্ট পাঠায় প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানের কাছে। সেই রিপোর্ট হাতে পেয়েই টিএলপির উপর থেকে নিষেধাজ্ঞা তুলে নেওয়ার অনুমোদন দেন ইমরান। এর আগে, লাহোরের একটি সন্ত্রাসবিরোধী আদালত সন্ত্রাস-সম্পর্কিত ধারায় নথিভুক্ত মামলার অধীনে নিষিদ্ধ ইসলামী সংগঠন তেহরিক-ই-লাব্বাইক পাকিস্তানের বেশ কয়েকজন নেতাকে জামিন দেয়। আর এবার সংগঠনের উপর থেকে নিষেধাজ্ঞা তুলে নিল পাকিস্তান।