হাতে কোনও প্রমাণ নেই। তবুও নিজেদের নিরাপত্তার ঘাটতি ধামাচাপা দেওয়ার জন্য করাচি স্টক এক্সচেঞ্জে সোমবার হওয়া সন্ত্রাসবাদী হানার দায় ভারতের ওপর চাপানোর চেষ্টা করছে পাকিস্তান। এই অভিযোগ ইতিমধ্যেই ভারত খণ্ডন করে দিয়েছে। তবুও সেই কথা ফের পাক পার্লামেন্টে বললেন প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান।
সোমবার স্টক এক্সচেঞ্জে আক্রমণ চার জঙ্গি সহ আটজন মারা গিয়েছে। বালুচিস্তান লিবারেশন আর্মির সঙ্গে যুক্ত মজিদ ব্রিগেড এই ঘটনার দায় নিয়েছে। ইমরান খান এদিন জাতীয় সংসদে বলেন যে মুম্বইয়ে যেমন হয়েছিল, তেমন ওরা করতে চেয়েছিল করাচিতে। ওরা অনিশ্চিয়তা ছড়াতে চেয়েছিল। আমার কোনও সন্দেহ নেই এর নেপথ্যে আছে ভারত, দাবি করেন ইমরান খান। সোমবার একই রকম কথা বলেছিলেন বিদেশমন্ত্রী শাহ মেহমুদ কুরেশি।
এই দাবি অবশ্য পুরোপুরি উড়িয়ে দিয়েছে ভারত। বিদেশমন্ত্রকের মুখপাত্র অনুরাগ শ্রীবাস্তব বলেছেন এটি অবাস্তব বক্তব্য। তিনি বলেন যে পাকিস্তানের মতো নয় ভারত। যে কোনও দেশেই হওয়া সন্ত্রাসকে কড়া নিন্দা করে নয়াদিল্লি। দুই দেশের মধ্যে গত বছর বালাকোটে হানার পর থেকেই অত্যন্ত খারাপ। এরপর জম্মু-কাশ্মীরে ৩৭০ বিলুপ্তি নিয়ে ফের গণ্ডগোল বাঁধে দুই দেশের মধ্যে। পাক হাইকমিশনের লোকজন চরবৃত্তি করছে, এই অভিযোগে ৫০ শতাংশ লোক কমাতে বলে নয়াদিল্লি চলতি মাসে। নিজেদের লোকও ইসলামাবাদ থেকে কমিয়ে নিচ্ছে ভারত।
তার মধ্যেই এল পাকিস্তানের এই গুরুতর অভিযোগ যে তাদের সবচেয়ে পুরনো ও বৃহত স্টক এক্সচেঞ্জে আক্রমণ করেছে ভারত। যদিও কোনও প্রমাণ না দিতে পারায় এই দাবি কোথাও কল্কে পাবে না, তা বলাই যায়।