পাকিস্তানের গদি থেকে ইমরান খানের সরে যাওয়া ঘিরে গত কয়েক সপ্তাহে তোলপাড় হয়েছে ইসলামাবাদের রাজনীতি। তাঁর গদিচ্যূত হওয়াকে বিদেশি ষড়যন্ত্রের আখ্যা দিয়েছেন ইমরান। তাঁর দাবি মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের মদতেই তাঁকে ষড়যন্ত্র করে করে পাক গদি থেকে সরানো হয়েছে। যদিও তা নস্যাৎ করেছে পাকিস্তানের ন্যাশনাল সিকিউরিটি কমিটি। শনিবার এক সাংবাদিক সম্মেলনে মুখ খুলে ইমরান এই বিষয়ে ঝোড়ো বার্তা দেন।
'আমরা ২২ কোটির দেশ। এমনকি নিউজিল্যান্ডের মতো ছোট দেশের প্রধানমন্ত্রীরাও এমন হুমকি পান না।' ঠিক এই কথা বলে সাংবাদিকদের সামনে নিজের অবস্থান তুলে ধরেন পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান। তিনি জানান, এর আগে জুলফিকার আলি ভুট্টো ও নওয়াজ শরিফরাও হুমকি চিঠি পেয়েছেন পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী হিসাবে, তবে তিনি যে চিঠি পেয়েছেন তা দেশের পক্ষে লজ্জাজনক বলে দাবি করেন ইমরান। এদিকে, তাঁর গদিচ্যূত হওয়ার নেপথ্যে যে বিদেশি মদত রয়েছে তার দাবি জোরালো করতে গিয়ে ইমরান বলেন, 'যে ভাষা ডোনাল্ড লু ব্যবহার করেছেন তা জেদি একদিক থেকে, বলেন যে জো বাইডেনের প্রশাসন আমাদের রাষ্ট্রদূতকে বলেন, ইমরান খানকে সরে যেতে হবে আস্থা ভোটের দ্বারা।' তাঁর মতে এই ষড়যন্ত্র তাঁর আস্থা ভোটের আগেই ঘটে গিয়েছে। আরও পড়ুন-৩৭০ ধারা অবলুপ্তির পর প্রথমবার কাশ্মীরে পা রেখে বড়সড় প্রকল্প উদ্বোধন মোদীর
এরপরই পাকিস্তানের বর্তমান প্রধানমন্ত্রী শাহবাজ শরিফের প্রসঙ্গ তুলে তিনি বলেন, ' শাহবাদ শরিফ আগে বলেছিলেন, এই বিদেশী ষড়যন্ত্রের ঘটনা ভুয়ো। আর তা সত্যি প্রমাণিত হলে তিনি আমার কাছে আসবেন, আমার সঙ্গে যোগ দেবেন। দয়া করে আসবেন না। আমি এমন চোরকে সঙ্গে নিতে পারব না। অন্তত ক্ষমতা তো চান।' এরসঙ্গেই শাহবাজকে তোপ দেগে ইমরান বলেন, ওঁরা পিতা ও পুত্র দুজনেই জামিনে মুক্ত, ইমরানের প্রশ্ন এর থেকে বাল কাউকে কি পাকিস্তান খুঁজে পেত না? তাঁর দাবি, এর থেকেই প্রমাণ হয় গোটা ঘটনা সাজানো ও ষড়যন্ত্র।