আচমকা গদি টলমল ইমরান খানের। শনিবার আস্থা ভোটের সম্মুখীন তাঁর সরকার। তার আগে ইমরান খান বললেন যে প্রয়োজনে বিরোধী আসনে বসবেন কিন্তু দুর্নীতি নিয়ে আপোষ করবেন না। সংখ্যা যে তাঁর অনুকুলে নয়, কার্যত সেই ইঙ্গিতও দেন পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী।
সেনেট নির্বাচনে গোপন ব্যালটে গতকাল পরাজিত হয়েছেন অর্থমন্ত্রী আবদুল হাফিজ শেখ। তাঁকে হারিয়েছেন বিরোধীদের যৌথ প্রার্থী প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী ইউসুফ রাজা গিলানি। ইমরানের দলের সাংসদরাই বিরোধী প্রার্থীর জন্য ভোট দেন। এদিন দেশের উদ্দেশে দেওয়া ভাষণে ইমরান বলেন যে তিনি দুর্নীতি নিয়ে আপোষ করবেন না। প্রধানমন্ত্রী বলেন যে যে অনেকে ভেবেছিল যে আস্থা ভোটের খাঁড়া ঝুলিয়ে তাকে দিয়ে দুর্নীতির মামলাগুলি বন্ধ করিয়ে নেবে। নিজের দলের সদস্যদেরই কার্যত চ্যালেঞ্জ করে ইমরান খান বলেন যে জাতীয় সংসদে প্রকাশ্য ভোট হবে। সকল সদস্যকে বলছি যে গণতান্ত্রিক অধিকার প্রয়োগ করে বলুন আপনারা ইমরান খানের সঙ্গে আছেন কি না। হেরে গেলে বিরোধী আসনে বসব, বলেন ইমরান।
প্রায় ৩০ মিনিটের ভাষণে বারবার দুর্নীতির কথা বলেন এই প্রাক্তন ক্রিকেটার। তিনি বলেন টাকা দিয়ে ভোট কিনেছে বিরোধীরা। পুরনো মামলাগুলি খুঁচিয়ে বার করা হচ্ছে বলেই তাঁর বিরুদ্ধে এত ক্ষোভ বলে তাঁর দাবি। তাঁর নিজের দলের ১৫-১৬ জন বিক্রি হয়ে গিয়েছে বলেও দাবি করেন ইমরান। এফএটিএফ যে সন্ত্রাসে টাকা ব্যবহার রোধের জন্য প্ল্যান দিয়েছে, সেটার জন্য আইন সংশোধন করতে হবে। কিন্তু সেটা করতেও বিরোধীরা বাধা দিচ্ছে বলে তিনি অভিযোগ করেন। নির্বাচন কমিশনের বিরুদ্ধেও গণতন্ত্রকে খাটো করার অভিযোগ তোলেন ইমরান। কারণ গোপন ব্যালটে ভোট হওয়ার ফলেই ঘোড়া কেনাবেচা হয়েছে বলে তাঁর দাবি। বর্তমানে লন্ডনে থাকা নওয়াজ শরিফের বিরুদ্ধেও তোপ দাগেন ইমরান। তিনি হাজার হাজার কোটি টাকার দুর্নীতির সঙ্গে যুক্ত বলে অভিযোগ ইমরানের। বর্তমানে ১০০ সদস্যের সেনেটে ইমরান খানের সমর্থনে মাত্র ৪৭ জন আছেন বলে জানা গিয়েছে। এদিন পাক সেনার পদস্থ কর্তাদের সঙ্গেও বৈঠক করেন ইমরান। তবে সব মিলিয়ে তাঁর পক্ষে যে হার এড়ানো শক্ত, তাঁর কথাতেই সেটা কিছুটা স্পষ্ট।