পা থেকে গুলি বের করা হয়েছে। আপাতত স্থিতিশীল প্রাক্তন পাক প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান। এমনটাই জানিয়েছেন চিকিৎসকরা। এরপর প্রথমবার সকলের সামনে মুখ খুললেন ইমরান খান। কী বললেন তিনি?
ওয়াজিরবাদে লংমার্চে বেরিয়ে তাঁকে নিশানা করে গুলি চালিয়েছিল দুষ্কৃতীরা। লাহোরের হাসপাতালে হুইল চেয়ারে বসে তিনি বললেন,আমি বাঁচতাম না। দুজন বন্দুকবাজকে আমি দেখেছিলাম।তারা গুলি চালানো বন্ধ না করলে আমি বাঁচতাম না।
কারণ আমি পড়ে গিয়েছিলাম। তখনই এক বন্দুকবাজ ভেবে নেয় আমি মারা গিয়েছি। আর তখনই সে চলে যায়, বললেন ইমরান।
গুলিবর্ষণের মুখে পড়ার সেই ভয়াবহ, হাড়হিম করা অভিজ্ঞতার কথা জানিয়েছেন ইমরান খান নিজেই। সেদিন গোটা বিশ্ব দেখেছিল গাড়ির উপর চেপে রয়েছেন ইমরান। হাত নাড়ছেন। আচমকাই গুলি। কিন্তু আসলে কী হয়েছিল? কী বললেন ইমরান?
ইমরান বলেন,আচমকাই গুলিবর্ষণ শুরু হয়েছিল। আমার পায়ে গুলি লাগল। আমি পড়ে গেলাম। যখন আমি পড়ে গেলাম তখন দ্বিতীয়বার গুলি এল। একটা পাশ থেকে এল। আর অপরটি সামনে থেকে এল। দুজন লোক ছিল। যদি ওরা না থামত আমি বাঁচতে পারতাম না। দুদিক থেকে গুলি করেছিল। যদি দুজনে একসঙ্গে গুলি চালাত তবে আমি বাঁচতাম না। যখন পড়ে যাই তখন ওপর দিয়ে গুলি চলে যায়। আমার মনে হচ্ছে ওপরে যে বসেছিল সে ভেবেছিল আমি মারা গিয়েছি। এরপরই সে চলে যায়।