আদালত চত্বরে কঠোর নিরাপত্তার মধ্য দিয়ে পাকিস্তানের প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানের বিরুদ্ধে দায়ের হওয়া সন্ত্রাসবাদ সংক্রান্ত মামলার শুনানি হল। ইসলামাবাদ হাইকোর্টের বাইরে মোতায়েন করা হয় প্রচুর সংখ্যক পুলিশ। তা নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করলেন প্রাক্তন পাক প্রধানমন্ত্রী। সেইসঙ্গে হুঁশিয়ারি দিয়ে জানালেন, সন্ত্রাসবাদ মামলায় তাঁর জেল হলে তিনি আরও ভয়ঙ্কর হয়ে উঠবেন।
পাকিস্তান তেহরিক ই ইনসাফ (পিটিআই) দলের প্রধান ইমরান খানের সন্ত্রাসবাদ সংক্রান্ত মামলার শুনানি ছিল গত বৃহস্পতিবার। ইসলামাবাদ হাইকোর্টে সন্ত্রাসমূলক কার্যকলাপের আশঙ্কায় দুপুর থেকে হাইকোর্ট চত্বরে সাতশো’রও বেশি পুলিশ কর্মী মোতায়ন করে প্রশাসন। ইমরান খান ছাড়াও এদিন এই মামলায় পিটিআইয়ের আরও বেশ কয়েকজন নেতা আদালতে আসেন। তবে কড়া নিরাপত্তা থাকার কারণে তাদের আদালতের ভিতরে ঢুকতে দেয়নি পুলিশ। হাইকোর্ট চত্বরে বিপুল সংখ্যক পুলিশ মোতায়েন নিয়ে তীব্র অসন্তোষ প্রকাশ করে ইমরান প্রশ্ন তোলেন, ‘আমি আশ্চর্য হয়েছি। প্রশাসন কাকে এত ভয় পাচ্ছে?’
যদিও তিনি সাংবাদিকদের সঙ্গে বেশি কথা বলতে চাননি। তাঁর বক্তব্য, হয়তো আরও কথা বললে তার মন্তব্যকে আদালত ভুলভাবে ব্যাখ্যা করতে পারে। মহিলা বিচারককে হুমকি দেওয়ার যে অভিযোগ উঠেছে সে প্রসঙ্গে ইমরানের অভিযোগ, আদালত তাঁকে তাঁর বক্তব্য ব্যাখ্যা করা সুযোগ দেয়নি। ইমরান আরও দাবি করেন, তিনি তাঁর শাসনকালে বিরোধীদের ওপর কোনও আক্রমণ করেননি। তাঁর বিরুদ্ধে অনেক এমন মামলা ভুলভাবে করা হয়েছিল। যা তিনি পরে জানতে পেরেছিলেন।
সন্ত্রাসবাদ মামলায় প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী বর্তমানে ১২ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত অন্তর্বর্তী জামিনে রয়েছেন। তাঁর বিরুদ্ধে অভিযোগ, পাকিস্তানে একটি সভামঞ্চ থেকে তিনি দুই পাক পুলিশ আধিকারিককে হুমকি দিয়েছিলেন। শুধু তাই নয়, এক মহিলা দায়েরা বিচারক-সহ আরও এক বিচারককেও তিনি হুমকি দিয়েছেন। এছাড়াও ওই সভায় ইমরান খানের বিরুদ্ধে উস্কানিমূলক বক্তব্য রাখারও অভিযোগ ওঠে। সেই ঘটনায় ইমরানের বিরুদ্ধে মামলা রুজু করে পুলিশ। পাকিস্তানের সন্ত্রাসবাদ আইনে তাঁর বিরুদ্ধে মামলা রুজু হয়। সেই মামলার তদন্তে হাইকোর্ট তদন্তকারীদের সাহায্য করার জন্য ইমরানকে নির্দেশ দিয়েছে। তা সত্ত্বেও ইমরান তদন্তকারী সংস্থাকে সহযোগিতা করেননি বলে অভিযোগ।