শিশির গুপ্ত
নজরদারি চালাতে পারবে কৃত্রিম উপগ্রহ, পরমাণু ক্ষেপণাস্ত্রের উপর। চিহ্নিত করতে পারবে শত্রুপক্ষের সাবমেরিন। এমনই সব ক্ষমতা-সম্পন্ন জাহাজ ‘ধ্রুব’-কে শীঘ্রই বিশাখাপত্তনম থেকে আনুষ্ঠানিকভাবে ভারতীয় নৌসেনায় অন্তর্ভুক্ত করা হতে চলেছে। যা ডিফেন্স রিসার্চ অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট অর্গানাইজেশন (ডিআরডিও) এবং ন্যাশনাল টেকনিকাল রিসার্চ অর্গানাইজেশনের (এনটিআরও) সহায়তায় তৈরি করেছে হিন্দুস্তান শিপইয়ার্ড।
সূত্রের খবর, আগামী ১০ সেপ্টেম্বর সেই অনুষ্ঠানে হাজির থাকবেন জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা অজিত ডোভাল। তাঁর হাত ধরেই ভারতীয় নৌসেনায় আনুষ্ঠানিকভাবে অন্তর্ভুক্ত হবে সেই অত্যাধুনিক জাহাজ। এছাড়াও ভারতীয় নৌসেনার প্রধান অ্যাডমিরাল করমবীর সিং, এনটিআরও চেয়ারম্যান অনিল দাসমানা-সহ ডিআরডিও ও নৌবাহিনীর উচ্চপদস্থ আধিকারিকরাও অনুষ্ঠানে থাকবেন।
আপাতত বিশ্বে এরকম জাহাজ আছে শুধুমাত্র ফ্রান্স, আমেরিকা, ব্রিটেন, রাশিয়া এবং চিনের কাছে। স্ট্র্যাটেজিক ফোর্সেস কমান্ডের সঙ্গে যে জাহাজের দায়িত্বে থাকবেন ভারতীয় নৌসেনার আধিকারিকরা। ১০,০০০ টনের জাহাজটি ভবিষ্যতে ভারতের ক্ষেপণাস্ত্র-বিরোধী শক্তির ক্ষেত্রে অন্যতম বড়সড় পদক্ষেপ হতে চলেছে। যা ভারতের বিভিন্ন শহর এবং সামরিক ঘাঁটি লক্ষ্য করে ছোড়া ক্ষেপণাস্ত্রের বিষয়ে আগেভাগেই সতর্কবার্তা দেবে। আইএনএস ধ্রুবতে ডিআরডিওয়ের তৈরি ‘অ্যাক্টিভ স্ক্যান অ্যারে র্যাডার’ আছে। যা ভারতের উপর নজরদারি চালানো উপগ্রহকে ধরে ফেলবে। পুরো এলাকায় ক্ষেপণাস্ত্র পরীক্ষার উপর তীক্ষ্ণ নজর রাখবে। সেইসঙ্গে ভারতীয় অঞ্চলের ম্যাপিং করবে আইএনএস ধ্রুব।
সংশ্লিষ্ট মহলের বক্তব্য, ইন্দো-প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলে নজরদারির ক্ষেত্রে আইএনএস ধ্রুবের ভূমিকা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ হবে। এমন একটি সময় সেই জাহাজ মোতায়েন করা হচ্ছে, যখন জলের তলায় সশস্ত্র নজরদারি এবং ড্রোনের মাধ্যমে নজরদারির যুগ শুরু হয়েছে। বিশেষত সমুদ্র-নির্ভর সামরিক ক্ষমতা বাড়ানোর পথে হাঁটছে চিন, তখন দ্রুত গোয়েন্দাবার্তা সংগ্রহ করে রিয়েল টাইমে সতর্ক করতে পারবে ধ্রুব। ভারতকে সামরিক অভিযানের জন্য নিখুঁতভাবে পরিকল্পনা করতে সাহায্যও করবে। সেইসঙ্গে বিস্তীর্ণ অঞ্চলে ভারতের নজরদারি ক্ষমতাও বাড়াবে সাহায্য করবে ধ্রুব।