সামরিক মহড়ার বিষয়ে কালভদ্রে কোনও ঘোষণা করে পিপলস লিবারেশন আর্মি (পিএলএ)। আর সেই চিনা সেনার মুখপত্র জানাল, তিব্বত স্বশাসিত এলাকায় ভূপূষ্ঠের ১৫,০০০ ফুটের বেশি উচ্চতায় ট্যাঙ্ক নিয়ে বড়সড় সামরিক মহড়া চালিয়েছে ইনফ্য়ান্ট্রি ব্যাটেলিয়ন। আকাশেও মহড়া চলেছে।
কখন সেই সামরিক মহড়া চালানো হয়েছে, সে বিষয়ে কিছু জানায়নি চিনা সেনা। তবে ৪,৭০০ মিটার উঁচুতে সশস্ত্র বাহিনী জিজ্যাং (তিব্বত) মিলিটারি কম্যান্ড সেই সামরিক মহড়া চালিয়েছে বলে জানানো হয়েছে। যে মিলিটারি কম্যান্ড চিনের দক্ষিণ-পশ্চিম অবস্থিত চেঙ্গদু সামরিক অঞ্চলের আওতায় পড়ে।
তবে সাধারণত চিনা সেনার তরফে সামরিক মহড়ার বিষয়ে কোনও তথ্য প্রকাশ করা হয় না। বরং সরকারি সংবাদমাধ্যমগুলি সেনার দেওয়া ছবির ভিত্তিতে সেই খবর করে। মঙ্গলবার সেই সামরিক মহড়ার বিষয়ে বিস্তারিত তথ্য দেয় খোদ চিনা সেনার মুখপত্র। তাতে ডেটলাইনও দেওয়া হয়েছে।
সামরিক মহড়া নিয়ে চিনা সেনার আস্ফালনে অন্য সমীকরণ খুঁজে পাচ্ছেন বিশেষজ্ঞরা। তাঁদের মতে, গালওয়ান উপত্যকায় হাতাহাতির খবর সামনে আসার দিনই এই খবর ়আসলে ভারতকে চাপে রাখার কৌশল। নয়াদিল্লিকে বার্তা দেওয়া হচ্ছে, বেজিং তৈরি আছে। বলতে গেলে মাইন্ড গেম খেলার চেষ্টা করছে চিন। যে নীতি বরাবরই নিয়েছে তারা। ডোকলাম বিবাদের সময়েও একইভাবে মাইন্ড গেম খেলেছিল বেজিং।
ভারত-চিন সীমান্ত বিবাদের প্রথমদিকেও সীমান্তে সৈন্য বাড়ানো, নয়া হেলিকপ্টার-ড্রোন মোতায়েন জাতীয় খবর প্রকাশ করা হয়েছে। চিনের সরকারি সংবাদমাধ্যম সেই খবরগুলি প্রকাশ করছিল। সীমান্ত উত্তেজনার সঙ্গে উঁচু এলাকায় চিনা সেনার মহড়া নিয়েও একাধিক প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়েছে। বিশেষজ্ঞদের মতে, উদ্দেশ্যটা একই ছিল। ভারতের সঙ্গে মাইন্ড গেম খেলা। আর এবার গালওয়ানের ঘটনার প্রভাব অনেক বেশি হওয়ায় আসরে নেমেছে চিনা সেনা। নিজেদের মুখপত্রের তরফে মাইন্ড গেম আরও উঁচু পর্যায়ে নিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করা হচ্ছে বলে ধারণা সংশ্লিষ্ট মহলের।