‘সাংবাদিকদের জন্য কারাগার চিন’, রিপোর্টারস উইদআউট বর্ডারের এক রিপোর্টে এমনই মন্তব্য করা হয়েছে। পাশাপাশি জানানো হয়েছে যে বিগত দিনে সংবেদনশীল বিষয় নিয়ে খবর করায় মোট ১২৭ জন সাংবাদিককে জেলে পাঠিয়েছে চিনা প্রশাসন। ধৃত সাংবাদিকদের আর্ধেকের বেশি জন উইঘুরদের নিয়ে খবর করা কারাগারে গিয়েছেন বলে জানানো হয়েছে রিপোর্টারস উইদআউট বর্ডারের সেই রিপোর্টে।
রিপোর্টার্স উইদাউট বর্ডারস, একটি আন্তর্জাতিক অলাভজনক সংস্থা যার লক্ষ্য তথ্যের অধিকার রক্ষা করা। প্রতিবেদনে আরএসএফ-এর সেক্রেটারি-জেনারেল ক্রিস্টোফ ডেলোয়ারকে উদ্ধৃত করে বলা হয়েছে যে চিন একটি ‘পিছিয়ে যাওয়া উন্মত্ত জাতি’তে পরিণত হতে পারে কারণ চিনা নাগরিকরা সংবাদপত্রের স্বাধীনতা হারাচ্ছেন।
আরএসএফ-এর প্রতিবেদনটিতে ইঙ্গিত দিয়েছে যে বেজিং সাংবাদিকতাকে কীভাবে দেখে। রিপোর্টের দাবি, জনসাধারণের কাছে তথ্য সরবরাহ করার হাতিয়ার নয় বরং রাষ্ট্রীয় প্রচারের একটি উপকরণ হিসাবে দেখা হয় সাংবাদিকতাকে। রিপোর্টে হংকং-এ সংবাদপত্রের স্বাধীনতার অবনতির দিকটিও তুলে ধরা হয়েছে। একসময় সংবাদপত্রের স্বাধীনতার মডেল ছিল হংকং। কিন্তু এখন জাতীয় নিরাপত্তার নামে ধারাবাহিক ভাবে সাংবাদিকদে গ্রেপ্তার করা হচ্ছে।
৪২ পৃষ্ঠার প্রতিবেদনে দাবি করা হয়েছে যে চিনা কর্তৃপক্ষ জিনজিয়াং-এর উইঘুর সাংবাদিকদের আটক করার জন্য অজুহাত হিসেবে ব্যবহার করা হয় সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে লড়াইকে। জানা গিয়েছে বর্তমানে ৭১ জন উইঘুর সাংবাদিক বন্দি রয়েছেন কারাগারে। তাছাড়া ২০২০ সালে অন্তত দশজন সাংবাদিক এবং অনলাইন ভাষ্যকারকে উহানে কোভিড সংকট সম্পর্কে রিপোর্ট করার জন্য গ্রেপ্তার করা হয়েছিল।