ইউক্রেন-রাশিয়া সংঘাতে ওয়াশিংটনের ৩০ দিনের যুদ্ধবিরতির বার্তায় সাড়া দিলেন রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন। এর আগে, যুদ্ধবিরতি নিয়ে আমেরিকা থেকে এসেছিল জোরদার বার্তা। বৃহস্পতিবার ভ্লাদিমির পুতিন জানালেন, ইউক্রেনে যুদ্ধবিরতি নিয়ে আমেরিকা যে প্রস্তাব দিয়েছিল তাতে সায় রয়েছে তাঁদের। তবে তাঁর দাবি, মার্কিন প্রস্তাব কীভাবে কার্যকর হবে, তা নিয়ে প্রশ্ন রয়েছে, তিনি বলছেন এর মধ্যে কিছু সুক্ষ্ম জটিলতা রয়েছে। এদিকে, ইউক্রেন সংঘাত নিয়ে মুখ খুলে তিনি তাঁর বক্তব্যের শুরুতেই মার্কিন প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প সহ একাধিক দেশের রাষ্ট্রনেতাকে ধন্যবাদ জানান। ধন্যবাদ জ্ঞাপন করেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীকে।
ইউক্রেন সংঘাত নিয়ে নিজের বক্তব্যের শুরুতেই ভ্লাদিমির পুতিন বলেন,' প্রথমত, আমি মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করে শুরু করতে চাই, ইউক্রেন সমস্যা সমাধানে এত মনোযোগ দেওয়ার জন্য।' এরপর তিনি বলেন,' আমাদের সকলেরই অনেক কিছু করার আছে, কিন্তু অনেক রাষ্ট্রনেতা, গণপ্রজাতন্ত্রী চিনের চেয়ারম্যান, ভারতের প্রধানমন্ত্রী, ব্রাজিল এবং দক্ষিণ আফ্রিকান প্রজাতন্ত্রের রাষ্ট্রপতি… তারা এই বিষয়ে অনেক সময় ব্যয় করেছেন এবং আমরা তাঁদের কাছে কৃতজ্ঞ, কারণ এই গোটা বিষয়টিই শত্রুতা রোধ এবং মানবিক হতাহত রোধের মহৎ উদ্দেশ্যে করা হচ্ছে।' এরই সঙ্গে তিনি ইউক্রেনের সঙ্গে যুদ্ধবিরতি নিয়ে মার্কিন প্রস্তাবে সায় দেন। পুতিন বলেন,' আমরা শত্রুতা বন্ধের প্রস্তাবের সাথে একমত, এই যুদ্ধবিরতি দীর্ঘমেয়াদী শান্তির দিকে পথকে পরিচালিত করবে বলে আমরা মনে করি এবং মনে করি এই সংকটের মূল কারণগুলি দূর করবে।' উল্লেখ্য, ইউক্রেন ও রাশিয়ার যুদ্ধে, শুরু থেকেই রুশ আক্রমনে বড় ধাক্কা খেয়েছে ইউক্রেন। সদ্য ইউক্রেনের প্রায় ৫ ভাগের এক ভাগ দখল করে নিয়েছে রাশিয়া। এই অবস্থায় কিছুদিন আগেই আমেরিকায় পৌঁছে ট্রাম্পের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি। কথা ছিল দুই দেশের মধ্যে ইউক্রেনের খণিজ নিয়ে হবে চুক্তি। তবে ট্রাম্প- জেলেনস্কি কথাকাটাকাটির মধ্যে সেই আলোচনা ভেস্তে যায়।
এদিকে, বুধবার হোয়াইট হাউসে ট্রাম্প জানিয়েছিলেন, আমেরিকা ৩০ দিনের যুদ্ধবিরতির যে প্রস্তাব দিয়েছে, তাতে ক্রেমলিন রাজি হবে বলেই তাঁর আশা। এই প্রস্তাবে যদি রাশিয়া সায় না দেয়, তাহলে মস্কোকে আর্থিক অবরোধে বেঁধে দেওয়ারও হুমকি দেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট। লেই হুমকির পর শেষমেশ মার্কিন বার্তায় সায় দিল রাশিয়া। তবে পুতিনের প্রশ্ন, ইউক্রেনে যাঁরা রয়েছেন, তাঁরা কি যুদ্ধ করবেন না? এই বিষয়টিতে নজরদারি চালাবে কে? বিষয়টি নিয়ে তিনি মার্কিন প্রশাসনের সঙ্গে কথা বলতে আগ্রহী। এদিকে, পুতিনের বার্তার পর ডোনাল্ড ট্রাম্প বলেন, এই বার্তা 'প্রতিশ্রুতিশীল', তবে ‘সম্পূর্ণ’ নয়।