হায়দরাবাদের দিলসুখনগরের চৈতন্যপুরীর একটি বাড়িতে থাকতেন ৫৫ বছর বয়সী ইয়ের্রাম অনুরাধা রেড্ডি। তাঁর সঙ্গে লিভ ইন করতেন বি চন্দ্রমোহন। জানা গিয়েছে, চন্দ্রমোহনের বাড়িতেই ভাড়া থাকতেন ইয়েরাম। আর তাঁকে খুন করে ইয়েরামের হাত ও পা ফ্রিজে ও বাকি দেহাংশ সুটকেসে রাখার অভিযোগ ইয়েরামের বিরুদ্ধে।
1/4আরও এক খুনের ঘটনায় শ্রদ্ধা কাণ্ডের ছায়া। এবার ঘটনাস্থল দিল্লির হায়দরাবাদের। সেখানে দিলসুখনগর এলাকায় ঘটে যাওয়া ভয়ঙ্কর কাণ্ডের কিনারা করল পুলিশ। লিভ ইন পার্টনারকে খুন করে তাঁর মৃতদেহ খণ্ড করে ফ্রিজ ও সুটকেসে ভরে রেখে অপরাধ গোপনের চেষ্টা করেছিল অভিযুক্ত। দেখে নেওয়া যাক, কীভাবে ঘটনার কিনারা করল পুলিশ। (HT_PRINT)
2/4হায়দরাবাদের দিলসুখনগরের চৈতন্যপুরীর একটি বাড়িতে থাকতেন ৫০ বছর বয়সী ইয়ের্রাম অনুরাধা রেড্ডি। তাঁর সঙ্গে লিভ ইন করতেন বি চন্দ্রমোহন। জানা গিয়েছে, চন্দ্রমোহনের বাড়িতেই ভাড়া থাকতেন ইয়েরাম। আর তাঁকে খুন করে ইয়েরামের হাত ও পা ফ্রিজে ও বাকি দেহাংশ সুটকেসে রাখার অভিযোগ ইয়েরামের বিরুদ্ধে। গন্ধ যাতে না বের হয়, তার জন্য, ডিসইনফেক্টর ঘরে ছড়িয়ে রাখত চন্দ্রশেখর, বলে জেনেছে পুলিশ। প্রতীকী ছবি। (HT_PRINT)
3/4পুলিশ জানাচ্ছে মে ১৭ তে তাদের কাছে খবর আসে যে, এক অজ্ঞাতপরিচয় মহিলার মাথার অংশ উদ্ধার হয়েছে স্থানীয় মুশি নদীর পাশে এক নোংরা ফেলার জায়গা থেকে। এরপরই পুলিশ নামে তদন্তে। মোট ৮ টি টিম তৈরি হয়। বাকি দেহাংশ পেতে থাকে পুলিশ। শুরু হয় বিভিন্ন জায়গার সিসিটিভি খতিয়ে দেখা। এক সপ্তাহ বাদেই অভিযুক্ত চন্দ্রশেখর পুলিশের হাতে আসে। পুলিশ জানতে পারে, চন্দ্রশেখরের ভাড়াটে ইয়েরামের সঙ্গে তার সম্পর্ক গড়ে ওঠে। ইয়েরামের থেকে একটা বড় অংশের টাকা নিয়ে তা ফেরত দিতে পারছিল না চন্দ্রশেখর। (Getty images) (HT_PRINT)
4/4পুলিশ জানিয়েছে, ইয়েরাম বারবার চন্দ্রশেখরকে চাপ দিতে থাকায় বিরক্ত হয় সে। এরপরই ইয়েরামকে খুনের ছক কষে চন্দ্রশেখর। এরপর প্ল্যান করে ১২ মে ইয়েরামের সঙ্গে সে ঝগড়া শুরু করে। ততদিনে চন্দ্রশেখরের কাছে পাথর কাটার দুটি যন্ত্র ছিল, যা সে কিনে ফেলেছিল আগেই। পরে ইয়েরামকে খুন করে কালো পলিথিনে সেই দেহ খণ্ডগুলি মুশি নদীর ধারে ফেলে আসে চন্দ্রশেখর। শুধু ইয়েরামের হাত ও পা সে রেখে দেয় ফ্রিজে। দেহাংশের মধ্যে গলা থেকে তলপেটের অংশটি সুটকেসে রেখে তা পরে ফেলে দেয় সে। ততদিনে ইয়েরামের ফোন থেকে তাঁর আত্মীয় পরিজনদের মেসেজ পাঠাতে থাকে চন্দ্রশেখর, যাতে কোনও মতে সন্দেহ না হয়। যদিও শেষমেশ সে ধরা পড়ে যায়। (OCG). (HT_PRINT)