ভারতে রাষ্ট্রভাষা ইস্যুতে বহু রাজনৈতিক সংঘাতের খবর শুনেছেন নিশ্চয়ই। ভাষাকে কেন্দ্র করে সংঘাতের খবরও শুনেছেন। তবে জানেন কি এদেশে, সংস্কৃত ভাষা কতজন বলতে পারেন? কেন্দ্রীয় সরকারের ভাষা সংক্রান্ত দফতরের হিসাব বলছে, বিহার, উত্তর প্রদেশ, পঞ্জাবে অনেকেই সংস্কৃত বলতে পারেন, আর উর্দু বুঝতে পারেন।
ভারতবর্ষে শুধুমাত্র ২,৪৮২১ জন সংস্কৃত ভাষায় কথা বলতে পারেন। বলছে কেন্দ্রীয় মন্ত্রকের পরিসংখ্যান। কেন্দ্রীয় মন্ত্রকের 'রেজিস্টারার জেনারেল অ্যান্ড সেনসাস কমিশনার অফিস'এর তরফে এই কথা বলা হয়েছে। আগ্রার নামী সমাজকর্মী দেবাশিস ভট্টাচার্যের দায়ের করা আরটিআইয়ের নিরিখে এই তথ্য প্রকাশ করেছে কেন্দ্র। দেবাশিস ভট্টাচার্যের কাছে যে তথ্য এসে পৌঁছেছে তা ২০১১ সালের নিরিখে। সেই সময়ের নিরিখে দেশের মোট জনসংখ্যার ০.০০২ শতাংশ মানুষই কেবল সংস্কৃত ভাষায় কথা বলতে পারেন। ডক্টর দেবাশিস ভট্টাচার্য বলছেন, দেশের সংখ্যালঘু ভাষার মধ্যে অন্যতম নয় সংস্কৃত। উল্টে দেশের ২২ টি অফিশিয়াল ভাষার অন্যতম সংস্কৃত। ২০১০ সালে উত্তরাখণ্ড দেশের প্রথম রাজ্য হয়ে ওঠে, যখন তারা সংস্কৃতকে দ্বিতীয় অফিশিয়াল ভাষা হিসাবে গ্রহণ করেছিল। তবে তা সেরাজ্যে কতজন বলতে পারেন তা নিয়ে বড় কোনও সংখ্যা উঠে আসে না। সেখানে বিভিন্ন ভাষার মিলিত রূপ হিন্দিতে কথা বলা ভারতীয়ের সংখ্যা অনেকটাই বেশি। কেন্দ্রীয় হিন্দি সংস্থানের তরফে বলা হচ্ছে, তারা শুধু সংস্কৃতকেই নয়, বরং ব্রজভাষা, অবধি, ভোজপুরিকেও সংরক্ষণ করে রাখতে উদ্যোগ নিচ্ছেন। ইচ্ছে থাকলে, গরবা নাচ ট্রেনের কামরার মধ্যেও হয় ! মহিলাদের এই ছবি ভাইরাল
উল্লেখ্য, ২০২২ সালে ৯ সেপ্টেম্বর উত্তরপ্রদেশের হরিমপুরের এক জেলা ম্যাজিস্ট্রেটের আদালত সংস্কৃতে একটি মামলার রায় জানিয়ে ইতিহাস গড়েছিলেন। তৎকালীন হরিমপুরের জেলা ম্যাজিস্ট্রেট ছিলেন সংস্কৃতে পিএইচডি। সেই সময় তাঁর ওই কীর্তি অনেককেই উৎসাহিত করেছিল সেই ভাষা নিয়ে। বহু সংস্কৃত অধ্যাপকই চেয়েছিলেন যাতে নিত্যদিনের ভাষা হিসাবে সংস্কৃতকে তুলে ধরা যায়। আর সেই ভাষাতেই আরও অনেকে যাতে কথা বলতে পারেন। তবে সদ্য উঠে আসা তথ্যে সেই সংখ্যাটি স্পষ্ট।