ঘটনা উত্তরপ্রদেশের সুলতানপুরের। সেদিন পূর্বাঞ্চল এক্সপ্রেসওয়েতে দ্রুত গতিতে যাচ্ছিল এক বিএমডাব্লিউ গাড়ি। গাড়িতে বসা ৪ জনের মধ্যে হালকা মেজাজে চলছিল ফেসবুক লাইভ। লাইভের মাঝেই কেউ ইয়ার্কির ছলে বলে দেন 'চারজনই মরব'। আর গাড়ি ততক্ষণে ৩০০ কিলোমিটার প্রতি ঘণ্টার গতিতে ছুটছে। খানিকবাদে সেই অভিশপ্ত কথা সত্যি করে ৪ জনের মৃত্যু হয়।
ফেসবুক লাইভে যখন ওই অভিশপ্ত মন্তব্য আসে তখন গাড়ির গতিবেগ ছিল ২৩০ কিলোমিটার প্রতি ঘণ্টায়। তারপর গতি আরএ বাড়ি। বিএমডাব্লিউয়ের সবচেয়ে বেশি গতি ৩০০ কিলোমিটার প্রতি ঘণ্টার নিরিখে। আর সেই গতিতেই পূর্বাঞ্চল এক্সপ্রেসওয়েতে দুর্ঘটনা ঘটে যায়। শুক্রবারের এই ঘটনায় রীতিমতো চাঞ্চল্য ছড়ায় উত্তরপ্রদেশে। গাড়ির গতি বাড়িয়ে এমন মৃত্যু নিজেরাই ডেকে আনে তার এক উদাহরণ তুলে ধরে এই ঘটনা। জানা গিয়েছে, যখন এই দুর্ঘটনা ঘটে যায়, তখন গাড়ি চালাচ্ছিলেন একজন চিকিৎসক। ৩৫ বছর বয়সী চিকিৎসক আনন্দ প্রকাশের এমন কাণ্ডে হতবাক সোশ্যাল মিডিয়াও। তিনি রোহতকের এক প্রাইভেট মেডিক্যাল কলেজের চিকিৎসক। জানা যায়, ওই গাড়ি তীব্র গতিতে এগিয়ে একটি ট্রাককে ধাক্কা মারে। গাড়িতে ছিলেন ইঞ্জিনিয়ার দীপক কুমার। ছিলেন ব্যবসায়ী মুকেশ ও অখিলেশ সিং। তাঁরা সকলেই বিহার থেকে যাচ্ছিলেন দিল্লিতে। আর তার আগেই মাঝপথে এই মর্মান্তিক কাণ্ডে তাঁদের মৃত্যু হয়। এদিকে, যে ট্রাকের সঙ্গে তাঁদের ধাক্কা লাগে, সেই ট্রাকটির চালক পালিয়ে যায় বলে খবর। এদিকে, বিএমডাব্লিউয়ের তদন্ত খুব শিগগিরই করা হবে বলে জানা গিয়েছে।
লিজকে অপছন্দ টোরি পার্টির বড় অংশের! সুনাককে নিয়ে কী বলছেন তাঁরা?
জানা যায়, ওই বিএমডাব্লিউ গাড়িটি আনন্দ প্রকাশের। দিল্লির এক শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের মালিকের থেকে ওই গাড়িটি কেনেন তিনি। সুলতানপুরের পুলিশের তরফে জানানো হয়েছে, এই মর্মান্তিক দুর্ঘটনার সমস্ত দিক খতিয়ে দেখবে পুলিশ। বিএমডাব্লিউয়ের অবস্থাও খতিয়ে দেখবে তারা। এছাড়াও রাস্তার নিরাপত্তাজনিক দিকগুলিও খতিয়ে দেখা হবে। এদিকে, মৃতের আত্মীয়ের দাবি, ওই রাস্তায় কোনও ডিভিশন সাইনবোর্ড ছিল না। ফলে রাস্তার নিরাপত্তা নিয়েও রয়েছে প্রশ্ন।