বিভিন্ন স্থানে পথ কুকুরদের দৌরাত্মের কথা অনেকবার শুনে থাকবেন আপনি। এবার মধ্যপ্রদেশ থেকেও শোনা গেল তেমনি একটি ঘটনা। মধ্য প্রদেশের বার্ষিক ২১ হাজারেরও বেশি কুকুর কামড়ানোর ঘটনা উঠে আসছে সামনে, যার ফলে উদ্বিগ্ন প্রশাসনও। গত ৫ বছরে প্রায় পাঁচটি পথ কুকুরকে হত্যা করতে বাধ্য হয়েছে প্রশাসন।
শুধুমাত্র রাস্তায় বা আবাসিক এলাকায় নয়, সরকারি চত্বরেও দিনের পর দিন বেড়ে চলেছে পথ কুকুরদের অত্যাচার। ব্যাপারটা ভীষণভাবে উদ্বেগের, তা আর বলার অপেক্ষা রাখে না। এই ব্যাপারটির গুরুত্ব এতটাই বেশি, যে মধ্যপ্রদেশের সাধারণ প্রশাসন বিভাগ অতিরিক্ত মুখ্য সচিব স্তর পর্যন্ত আইএএস অফিসার সহ ১৫ জনের একটি কমিটি গঠনের আদেশ জারি করেছে।
(আরও পড়ুন: FIDE - এর উদ্যোগে পালন করা হয় আন্তর্জাতিক দাবা দিবস, জানেন এই দিনটির ইতিহাস কী)
শুধু ভোপাল নয়, মধ্যপ্রদেশের বিভিন্ন হাসপাতাল থেকে প্রতিদিন গড়ে ৫৫ টি কুকুর কামড়ানোর ঘটনা নথিভুক্ত করা হচ্ছে। গত ৫ বছরে জলাতঙ্কে মারা গেছে বেশ কয়েক হাজার মানুষ। গত ১ জুলাই গোপালের লালঘটির কাছে কুণাল নামের এক ব্যক্তিকে কুকুরের কামড়ের ফলে আটটি সেলাই করতে হয়েছে।
এই ঘটনার ঠিক পাঁচ দিন পর ১৬ বছর বয়সী রবি সাহু নামে এক ব্যক্তি পরিবারের সঙ্গে যখন মন্দিরে যাচ্ছিলেন, তখন পথ কুকুরদের দ্বারা আক্রান্ত হন। এছাড়াও গত ৯ জুলাই হোসঙ্গাবাদে এক ব্যক্তি পথ কুকুরদের দ্বারা আক্রান্ত হন এবং ওই ব্যক্তির পায়ে গভীরভাবে চোট লাগে।
এই প্রসঙ্গে বিরোধীরা সরকারের ব্যর্থতা তুলে ধরে দাবি করেন, পথ কুকুরদের দ্বারা এইভাবে মানুষের আক্রান্ত হওয়ার ঘটনা শুধুমাত্র সরকারের ব্যর্থতা তুলে ধরে। এই প্রসঙ্গে পশু পালন মন্ত্রী লক্ষণ প্যাটেল বলেন, ‘আমাদের অগ্রাধিকার জীবন বাঁচানো, তাই আমরা অফিসারদের নিয়ে একটি কমিটি গঠন করেছি। না মেরে যদি পথ কুকুরদের কোনও ভাবে সরিয়ে ফেলা যায়, সেই চেষ্টাই করা হবে।’
(আরও পড়ুন: লেখক অমিতাভ ঘোষের মুকুটে নতুন পালক, ইউনিভার্সিটি অফ সিয়েনা থেকে মিলল স্বীকৃতি)
তবে বিগত বেশ কয়েক বছরে কুকুরদের দ্বারা আক্রান্ত মানুষের সংখ্যা উত্তরোত্তর বেড়েই চলেছে। ২০২২ সালে কুকুরে কামড়ানো মানুষের সংখ্যা ছিল ৮,১২৪ জন। সেই সংখ্যা ২০২৩ সালে হয়ে যায় দ্বিগুণ। ২০২৩ সালে কুকুরের কামড়ানো মানুষের সংখ্যা গিয়ে দাঁড়ায় ১৬,৩৮৭ জনে। ২০২৪ সালে প্রথম পাঁচ মাসে কুকুরে কামড়ানো ব্যক্তিদের সংখ্যা ৭,৭২৮ জন। বোঝাই যাচ্ছে, যদি সত্ত্বর কোনও পদক্ষেপ না নেওয়া হয়, তাহলে এই সংখ্যা আরও বেশি বেড়ে যাবে।