লদবড়সড় বিপাকে কর্ণাটকের মুখ্যমন্ত্রী সিদ্দারামাইয়া। এবার মুদা প্লট কেলেঙ্কারি মামলায় তাঁকে জেরা করার জন্য তলব করল কর্ণাটকের লোকায়ুক্ত পুলিশ। আগামী ৬ নভেম্বর রয়েছে তাঁকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হবে বলে দিন ধার্য হয়েছে। এর আগে এই মামলায় সিদ্দারামাইয়ার স্ত্রী পার্বতী বিএমকে তলব করা হয়। লোকায়ুক্ত পুলিশ অফিসাররা জানিয়েছেন, ‘ তাঁকে আমরা বুধবার আসতে বলেছি।’
সিদ্দারামাইয়া ছাড়াও এই মুদা কেস মামলায় তাঁর স্ত্রী, তাঁর শ্যালক মল্লিকার্জুন স্বামী ও দেবরাজুর নাম এফআইআর-এ রয়েছে। মাইসুরুর লোকায়ুক্ত পুলিশ স্টেশনে গত ২৭ সেপ্টেম্বর ওই এফআইআর রেজিস্টার করা হয়। এদিকে, গত সপ্তাহে সিদ্দারামাইয়ার স্ত্রী পার্বতীকে জিজ্ঞাসাবাদের আগে গোটা কর্ণাটকে অভিযান চালায় ইডি। প্রশ্ন উঠছে, গোটা ঘটনা পরম্পরা যেদিকে যাচ্ছে, তাতে কর্ণাটকের মুখ্যমন্ত্রীর পরিণতিও কি দিল্লির প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়ালের মতো হবে? সেই প্রশ্নের উত্তর তোলা রয়েছে সময়ের কাছে। তবে, এর আগে, মুদা প্লট বিলি কেলেঙ্কারিতে ইতিমধ্যেই সিদ্দারামাইয়া ঘনিষ্ঠ তিন অফিসারকে জেরা করেছে ইডি।
কোর্ট যখনই ঘোষণা করে যে, রাজ্যপাল, লোকায়ুক্তের দ্বারা মুখ্যমন্ত্রীকে জিজ্ঞাসাবাদ করার অনুমতি দেওয়ার অধিকারের মধ্যে রয়েছেন, তারপরই আসে এই সমন। বিশেষ আদালতের নির্দেশে লোকায়ুক্ত ইতিমধ্যেই একটি এফআইআর দায়ের করেছে।
প্রসঙ্গত, শহরের কাছে কেসারে গ্রামে তাঁর ৩.১৬ একর জমির বিরুদ্ধে ক্ষতিপূরণ হিসাবে সিদ্দারামাইয়ার স্ত্রী পার্বতীকে ১৪ টি উচ্চ মূল্যের প্লট বরাদ্দের সাথে এই মামলাটি সম্পর্কিত। এই নিয়ে দুর্নীতির অভিযোগ তুলে বহু সমাজকর্মী সরব হয়েছেন। সমাজ কর্মীদের অভিযোগ করেছেন যে, এতে রাজ্যের ৪৫ কোটির ক্ষতি হয়েছে। দুর্নীতিবিরোধী এক কর্মী অভিযোগ দায়ের করেছিলেন। এদিকে, এই মামলা নিয়ে বিভি পার্বতী ইতিমধ্যেই ওই জমি ফিরিয়ে দেওয়ার কথা বলেন।