৬০ আসনের নাগাল্যন্ড বিধানসভায় বিজেপির শরিক ন্যাশনাল ডেমোক্রেটিক প্রোগ্রেসিভ পার্টির (এনডিপিপি) দখলে রয়েছে ২১ টি আসন। বিজেপি সেখানে দখলে রেখেছে ১২ টি আসন। এছাড়াও সরকারের শাসক জোটে রয়েছেন দুই নির্দল বিধায়ক। এই পরিস্থিতিতে ২০১৮ সাল থেকে এনডিপিপির বিপক্ষে সুর চড়িয়েছে নাগাল্যান্ডের স্থানীয় আরও এক পার্টি নাগা পিপলস ফ্রন্ট তথা এনপিএফ। নাগা রাজনৈতিক সমীকরণে শেষ বিধানসভা ভোটে এই এনপিএফের দখলে ছিল ২৫ টি আসন। আর এই এনপিএফই এবার বিরোধী শিবির থেকে উঠে এসে হাত মেলাতে চাইছে শাসক শিবিরের ন্যাশনাল ডেমোক্রেটিক প্রোগ্রেসিভ পার্টির সঙ্গে। ফলে নাগাল্যান্ডের রাজনীতিতে একটি বড় সমীকরণ পরিবর্তন উঠে আসতে পারে বলে মনে করা হচ্ছে।
নাগা রাজনীতিতে সবচেয়ে পুরনো আঞ্চলিক শক্তি এনপিএফ। এবার তারাই দাবি করেছে, নাগাল্যান্ডের মানুষের বৃহত্তর স্বার্থে তারা হাত মেলাতে চায় ন্যাশনালিস্ট ডেমোক্রেটিক প্রগ্রেসিভ পার্টির সঙ্গে। যে ঘটনা কার্যত খানিকটা ব্যাকফুটে নাগাল্যান্ডের বিজেপি। এই হাত মেলানোর বার্তাকে মোটেও সহজে নেয়নি পদ্মশিবির। কোহিমায় এনপিএফএর তরফে অচুবেমো কিকোন জানিয়েছেন, 'এই কঠিন সময়ে, এনপিএফ ওয়ার্কিং কমিটি এই সিদ্ধান্তে এসেছে যে রাজ্যের মানুষের বৃহত্তর স্বার্থে আঞ্চলিক শিবিরগুলিকে একজোট হতে হবে।' কিকোন জানিয়েছেন, যাতে এই জোটের হাত শক্ত হয়, তা নিয়ে রেজোলিউশনও পাশ হয়েছে তাদের পার্টির ওয়ার্কিং কমিটিতে। উল্লেখ্য, নাগাল্যান্ড মূলত এই মুহূর্তে বিপক্ষ বিহীন রয়েছে। সেভাবে বিপক্ষের ইউডিএ জোট নাগা রাজনীতিতে উজ্জ্বলভাবে প্রকাশ্যে আসতে পারেনি।
এদিকে, ২০১৭ সালে নাগা রাজনীতিতে বড় পরিবর্তন এনেছে এনডিপিপি ও এনপিএফ। এনপিএফ থেকে বেরিয়েই নাগা রাজনীতিতে উঠে আসে এনপিএফ। এর আগে এনপিএর সঙ্গে বিজেপির সেভাবে শত্রুতাও ছিল না বা মিত্রতাও দেখা যায়নি। তবে পরবর্তীকালে দুই শিবিরই রাজনৈতিক অঙ্কের নিয়মে দুই প্রান্তে চলে যায়। এনডিপিপির সঙ্গে জোট বাঁধে বিজেপি। আপাতত জানা গিয়েছে, এই এনডিপিপিকে নিয়ে এনপিএফ-এর জোট বার্তা প্রসঙ্গে বিজেপি গোটা পরিস্থিতির দিকে কড়া নজর রাখছে।