সন্দেহ একমাস ধরে ছিল স্ত্রীর। প্রায়ই স্বামীকে দেখতেন তাঁর অগোচরে ফোনে কারও সঙ্গে কথা বলতে। এরপর তা নিয়ে স্বামীর সঙ্গে বচসা হতেই সত্যিটা বেরিয়ে আসে। স্ত্রীর কাছে স্বামী স্বীকার করে নেন যে তিনি এক ট্রান্সওম্য়ানের প্রেমে পড়েছেন। আর পরকীয়া সম্পর্কে তাঁর সঙ্গেই সম্পর্ক স্থাপন করে ফেলেছেন। এরপর দীর্ঘ টালবাহানার পর স্ত্রীর সম্মতি নিয়েই ওই ট্রান্সওম্য়ানকে সদ্য বিয়ে করলেন ব্যক্তি।
স্বামীর বক্তব্য তিনি প্রথম নজরেই ওই ট্রান্সওমেনের প্রেমে পড়ে যান। তখনই নেন মোবাইল নম্বর। 'লাভ অ্যাট ফার্স্ট সাইট' দিয়ে এগোয় সম্পর্কের সফর। সম্পর্ককে গুরুত্ব দিতে থাকেন দুজনেই। এদিকে, পরকীয়া এই সম্পর্ক নিয়ে স্ত্রীর সঙ্গে কথা বলেন ব্যক্তি। জানা গিয়েছে, স্ত্রী রাজি হন ওই ট্রান্সওম্য়ানকে স্বামীর অপর সঙ্গী হিসাবে মেনে নিতে।
শেষে এক ছাদের নীচে এই ট্রান্সওম্য়ানের সঙ্গে সংসার করতে রাজি হন তাঁর স্ত্রী। এরপর ওড়িশার এই বাসিন্দা, কালাহান্ডির নারলায় এক মন্দিরে ওই ট্রান্সওমেনকে বিয়ে করেন। বিয়েতে উপস্থিত ছিলেন খুবই কম সংখ্যক অতিথি। ট্রান্সওম্যানের বন্ধুরা সেখানে হাজির ছিলেন। এদিকে, ওড়িশা হাইকোর্টের আইনজীবী শ্রীনিবাস মোহান্তির মতে, মহিলা হোক বা ট্রান্সওম্যান, হিন্দু ম্যারেজ অ্যাক্ট অনুযায়ী, দ্বিতীয় বিয়েকে বিবাহিত অবস্থায় মেনে নেওয়া হয় না। এটি আইনত বিধি বিরুদ্ধ। বিজেপির নবান্ন অভিযান ঘিরে দিনভর রণক্ষেত্র বিভিন্ন এলাকা! খণ্ডচিত্র একনজরে
যদি একজন ব্যক্তি বিবাহিত হন, আর তিনি বিবাহিত অবস্থায় আরও একটি বিয়ে করেন, তাহলে তা আইনসম্মত নয়। আইনত, এই বিয়ের পরও ওই ব্যক্তি তাঁর প্রথম বিবাহের বন্ধনেই আবদ্ধ থাকবেন বলে বিশেষজ্ঞদের দাবি। তবে ওড়িশার এই ঘটনায় শেষপর্যন্ত আইনি পথে কী ঘটে, সেদিকে তাকিয়ে অনেকেই। উল্লেখ্য, এই ঘটনার জেরে চাঞ্চল্য ছড়ায় এলাকায়।