ওড়িশার চাঁদিপুরে এদিন ছিল অগ্নি ৪ ব্যালাস্টিক মিসাইলের পরীক্ষা। আর সেই পরীক্ষায় সফল এই আগ্নেয়াস্ত্র। ইন্টারমিডিয়েট রেঞ্জ ব্যালাস্টিক মিসাইল অগ্নি ৪এর এই পরীক্ষামূলক উৎক্ষেপণ ওড়িশার চাঁদিপুরের ইন্টিগ্রেটেড টেস্ট রেঞ্জ থেকে সম্পন্ন হয়েছে।
এদিনের পরীক্ষায় এই অস্ত্র, যাবতীয় কার্যকরী ও প্রযুক্তিগত মাপদণ্ডকে ছুঁয়েছে। প্রতিরক্ষা মন্ত্রকের তরফে একটি টুইটে জানানো হয়েছে, ‘ওড়িশার চাঁদিপুরের ইন্টিগ্রেটেড টেস্ট রেঞ্জ থেকে উৎক্ষেপণটি সফলভাবে সম্পন্ন করা হয়েছে।’ স্ট্র্যাটেজিক ফোর্সেস কমান্ডের আওতায় এই পরীক্ষা করা হয়। মিসাইল কতটা প্রস্তুত আর তার কার্যকারিতা কী হতে পারে, তা যাচাই করে দেখা হয়েছে এই টেস্টে। এই মিসাইলের রেঞ্জ ৪০০০ কিলোমিটার। ৪০০ কিলোমিটারের দূরের কোনও বস্তুতে আছড়ে পড়তে পারে এই মিসাইল। দেশের স্ট্র্যাটেজিক দিক থেকে এই মিসাইলের ক্ষমতা বেশ শক্তিশালী করতে চলেছে সেনাকে। ২০ মিটার দীর্ঘ এই মিসাইল ১০০০ কেজির পেলোড নিতে সক্ষম। রোড মোবাইল লঞ্চার থেকে এই মিসাইল নিক্ষেপ করা যেতে পারে। ২০১২ সালে এর পরীক্ষামূলক উৎক্ষেপণের সময়, অগ্নি-৪, শুধুমাত্র ২০ মিনিটে ৩,০০০ কিলোমিটারের বেশি অতিক্রম করেছিল। এটি সেই সময়ে প্রতিরক্ষা গবেষণা ও উন্নয়ন সংস্থা (DRDO) দ্বারা পরিচালিত দীর্ঘতম পাল্লার মিশন ছিল।
এর আগে, এপ্রিলে অগ্নি প্রাইম ব্যালাস্টিক মিসাইলের সফল পরীক্ষা করা হয়। অগ্নি-প্রাইম পরীক্ষাটি ওডিশার উপকূলে এপিজে আবদুল কালাম দ্বীপ থেকে পরিচালিত হয়েছিল, যা ক্ষেপণাস্ত্র প্রযুক্তিতে দেশের অগ্রগতি প্রদর্শন করে। মার্চ মাসে, প্রতিরক্ষা গবেষণা ও উন্নয়ন সংস্থা (DRDO) MIRV-সজ্জিত অগ্নি-৫ ক্ষেপণাস্ত্রের প্রথম পরীক্ষা চালায়। ৫ হাজার কিলোমিটারের পরিসীমা সহ, অগ্নি-৫ ভারতের দীর্ঘমেয়াদী নিরাপত্তার চাহিদা মেটাতে ডিজাইন করা হয়েছে।