প্রথমে চলে মারধর। তারপর পায়ে পেরেক ফুটিয়ে চলে বাড়ানো হয় নৃশংস অত্যাচারের মাত্রা। রাজস্থানের আরটিআই কর্মী অমরারাম গোদারার ওপর হামলা ঘটনা নিয়ে রীতিমতো চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে। রাজস্থানের বারমেরে তাঁর নিজের গ্রাম পরেয়ুতে কয়েকজন দুষ্কৃতী তাঁর ওপর এভাবে হামলা চালায় বলে অভিযোগ। এদিকে, এই হামলার ঘটনার নেপথ্যে কোন অভিসন্ধি থাকতে পারে দুষ্কৃতীদের তা নিয়ে রয়েছে জল্পনা।
প্রসঙ্গত, কয়েকদিন আগেই রাজস্থানে একটি অবৈধ মদের ব্যবসা নিয়ে পুলিশে অভিযোগ জানান অমরা। মূলত , এই ব্যবসার পর্দাফাঁস করতেই তিনি উদ্যত হন। এদিকে পুলিশ জানিয়েছে, হামলার ঘটনার সময় আক্রান্ত সমাজকর্মীর পায়ে পেরেক ফুটিয়ে দেওয়া হয়েছিল। সেই অবস্থাতেই তাঁকে উদ্ধার করা হয়। প্রসঙ্গত, এই হামলার ঘটনা থেকে জল্পনা চরমে উঠেছে ওই অবৈধ মদের ব্যবসার পর্দাফাঁস সংক্রান্ত অভিযোগের। প্রশ্ন, উঠছে এই হামলার নেপথ্যে কি তাহলে সেই ব্যবসার পর্দাফাঁসের কোনও যোগ রয়েছ? এদিকে, আহত অবস্থায় অমরা গোদারা আপাতত হাসপাতালে। তাঁর এক সহকর্মী জানিয়েছেন, এই হামলার ঘটনার প্রেক্ষিতে রাজ্য মানবাধিকার কমিশন ,রাজস্থান পুলিশের শীর্ষকর্তা এবং অন্যান্য আধিকারিকদের কাছে রিপোর্ট তলব করেছে। রাজস্থান পুলিশ জানিয়েছে, এই হামলায় গোদারার শরীরে লাগা আঘাতের ধরন জানা যাবে মেডিক্যাল রিপোর্ট আসার পরই। পুলিশ জানিয়েছে, অবৈধ মদের ব্যবসা নিয়ে গোদারা যে অভিযোগ জানিয়েছেন, তা নিয়েও পদক্ষেপ নিয়েছে পুলিশ। বহু অবৈধ মদ বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন বারমেরের এসপি দীপক ভার্গব।
এসপি দীপক ভার্গব এই হামলার ঘটনার পরই পরেয়ু গ্রামে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করতে যান। পুলিশ সূত্রের খবর, প্রাথমিকভাবে মনে করা হচ্ছে যে, অবৈধ মদের ব্যবসার সঙ্গে জড়িতরা থাকতে পারেন। পুলিশ জানিয়েছে , আততায়ীদের ধরার জন্য টিম তৈরিকরা হয়েছে। এদিকে, জানা যাচ্ছে শুধু অবৈধ মদের ব্যবসা নয়, বারমেরের কুম্পালিয়া এলাকায় কিছু উন্নয়নের কাজ রুখে রয়েছে, এমন অভিযোগ নিয়েও অমরা গোদারা পুলিশের দ্বারস্থ হয়েছিলেন কয়েকদিন আগে। তারপর এমন হামলার ঘটনা নিয়ে চাঞ্চল্য তৈরি হয়েছে এলাকায়।