প্রায় ২,০০০ বছর আগেকার ঘটনা। মাউন্ট ভিসুভিয়াসের অগ্নুৎপাতে ধ্বংস হয়ে গিয়েছিল এক রোমান শহর। অনেকেই সময় মতো নিরাপদ স্থানে পালাতে পারেননি। এমনই এক রোমান ভিলার ধ্বংসাবশেষে একটি 'দাস ঘর' খুঁজে পেলেন প্রত্নতাত্ত্বিকরা।
প্রাচীন শহরের বাকি অংশ থেকে মাত্র কয়েকশো মিটার দূরে শহরতলিতে ভিলাটি। সিভিটা গিউলিয়ানার ভিলায় খননের সময় এই ঘরটি খুঁজে পান প্রত্নতাত্ত্বিকরা। ছোট্ট ঘরটিতে তিনটি বিছানা, একটি সিরামিক পাত্র এবং একটি কাঠের বাক্সও মিলেছে বলে জানিয়েছেন তাঁরা।
চলতি বছরের শুরুতে এখানেই একটি প্রায় অক্ষত রোমান রথ আবিষ্কৃত হয়েছিল। শনিবার প্রত্নতাত্ত্বিকরা জানান, এই কক্ষটিতে সম্ভবত রথের রক্ষণাবেক্ষণ এবং প্রস্তুতির জন্য দাসদের রাখা হয়েছিল৷
সিনারাইটে(অগ্নুত্পাতের ছাই) খাটের ছাপ পেয়েছেন বিজ্ঞানীরা। যেন পাথরের ছাঁচ। এতে প্লাস্টার ঢেলে খাটের আকৃতি সম্পর্কে ধারণা পেয়েছেন প্রত্নতাত্ত্বিকরা।
পম্পেই'র ডিরেক্টর জেনারেল গ্যাব্রিয়েল জুকট্রিগেল বলেন, 'ঐতিহাসিক উত্সগুলিতে এগুলির বিষয়ে খুব কমই দেখা যায়। আসলে সেই ইতিহাস বা কাহিনী প্রায় একচেটিয়াভাবে অভিজাত শ্রেণীর পুরুষদের লেখা হয়। ফলে তাতে সমাজের অন্যান্য ছবি সেভাবে উঠে আসে না।'
'প্রাচীন সমাজে সবচেয়ে নিপীড়িতরা কীভাবে জীবনযাপন করত... তার সাক্ষ্যপ্রমাণ এটি। অবশ্যই একজন প্রত্নতাত্ত্বিক হিসাবে আমার জীবনের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ আবিষ্কারগুলির মধ্যে একটি,' একটি প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে বলেন তিনি।
৭৯ খ্রিস্টাব্দে মাউন্ট ভিসুভিয়াস অগ্ন্যুৎপাতের সময় পম্পেই ছাইয়ে কবরে চাপা পড়ে। সেই সময়ে যাঁরা সময়মতো শহর ছেড়ে যেতে পারেনি তাঁদের মৃত্যু হয়। বাড়ি ভেঙে গিয়ে তাতে চাপা পড়ে, লাভার উত্তাপে অগণিত মানুষ প্রাণ হারান।
আবিষ্কৃত ঘরটি কেমন?
১৬ বর্গ মিটারের (১৭০-বর্গফুট) ঘরটিতে পাশাপাশি তিনটি বিছানা। যার মধ্যে একটি সম্ভবত ছোট শিশুদের জন্য ছিল। সেখানে আটটি অ্যাম্ফোরাও(লম্বা পাত্রবিশেষ) ছিল।
কাঠের বাক্সে ধাতব ও কাপড়ের জিনিস রাখা ছিল। সম্ভবত এগুলি রথে ও ঘোড়ার জন্য ব্যবহৃত হত।
ঘরের উপরে একটি ছোট জানালা ছিল। দেওয়ালে একটি কালো দাগ দেখে প্রত্নতাত্ত্বিকদের ধারণা, সেখানে লন্ঠন রাখা হত।
পম্পেই'র ডিরেক্টর জেনারেল গ্যাব্রিয়েল জুকট্রিগেল বলেন, 'ঐতিহাসিক উত্সগুলিতে এগুলির বিষয়ে খুব কমই দেখা যায়। আসলে সেই ইতিহাস বা কাহিনী প্রায় একচেটিয়াভাবে অভিজাত শ্রেণীর পুরুষদের লেখা হয়। ফলে তাতে সমাজের অন্যান্য ছবি সেভাবে উঠে আসে না।'
'প্রাচীন সমাজে সবচেয়ে নিপীড়িতরা কীভাবে জীবনযাপন করত... তার সাক্ষ্যপ্রমাণ এটি। অবশ্যই একজন প্রত্নতাত্ত্বিক হিসাবে আমার জীবনের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ আবিষ্কারগুলির মধ্যে একটি,' একটি প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে বলেন তিনি।
৭৯ খ্রিস্টাব্দে মাউন্ট ভিসুভিয়াস অগ্ন্যুৎপাতের সময় পম্পেই ছাইয়ে কবরে চাপা পড়ে। সেই সময়ে যাঁরা সময়মতো শহর ছেড়ে যেতে পারেনি তাঁদের মৃত্যু হয়। বাড়ি ভেঙে গিয়ে তাতে চাপা পড়ে, লাভার উত্তাপে অগণিত মানুষ প্রাণ হারান।
আবিষ্কৃত ঘরটি কেমন?
16 বর্গ মিটারের (170-বর্গফুট) ঘরটিতে পাশাপাশি তিনটি বিছানা। যার মধ্যে একটি সম্ভবত ছোট শিশুদের জন্য ছিল। সেখানে আটটি অ্যাম্ফোরাও(লম্বা পাত্রবিশেষ) ছিল।
কাঠের বাক্সে ধাতব ও কাপড়ের জিনিস রাখা ছিল। সম্ভবত এগুলি রথে ও ঘোড়ার জন্য ব্যবহৃত হত।
ঘরের উপরে একটি ছোট জানালা ছিল। দেওয়ালে একটি কালো দাগ দেখে প্রত্নতাত্ত্বিকদের ধারণা, সেখানে লন্ঠন রাখা হত।
|#+|
চলতি বছরের শুরুর দিকে কাছেই একটি আস্তাবলে তিনটি ঘোড়ার দেহাবশেষ পাওয়া গিয়েছিল।