মুম্বইতে শরদ পাওয়ারকে পাশে নিয়ে মমতা দাবি করেছিলেন, ইউনাইটেড প্রগ্রেসিভ অ্যালায়েন্স বা ইউপিএ-র কোনও অস্তিত্ব নেই। আর এরপরই মমতাকে তোপ দাগলেন কংগ্রেস নেতা অধীর রঞ্জন চৌধুরী। অধীরবাবুর অভিযোগ বিজেপিকে অক্সিজেন সরবরাহ করতেই ষড়যন্ত্র করছেন মমতা।
লোকসভায় কংগ্রেসের দলনেতা অধীর চৌধুরী বলেন, ‘২০১২ সালে যখন ইউপিএতে তৃণমূলের ৬ জন মন্ত্রী ছিলেন,তখন খুব ভালো লেগেছিল ইউপিএ? তারপর যখন ইউপিএ ছেড়ে বেরিয়ে যান, তখন থেকেই ইউপিএ ভাঙার ছক কষে যাচ্ছেন মমতা।‘ অধীর আরও বলেন, ‘শারদ পাওয়ার কংগ্রেসের বিরুদ্ধে কিছু বলেননি। তিনি একজন সিনিয়র নেতা। আমরা তাঁকে অনেক সম্মান করি। শরদ পাওয়ার এবং অন্যান্য দলের লোকদের ফাঁসানোর জন্য এবং বিজেপির বিকল্প এসেছে তা দেখানোর জন্য এটি মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের একটি পূর্বতন ষড়যন্ত্র। এতে সবচেয়ে বেশি লাভবান হচ্ছে বিজেপি।’
অধীরের কথায়, ‘যখন ভারত জুড়ে বিজেপির অবস্থা খারাপ। তাদের অবস্থা দিন দিন আরও খারাপ হচ্ছে। এমন এক সময়ে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় তাদের অক্সিজেন সরবরাহ করার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বিজেপির অক্সিজেন সরবরাহকারী হয়ে উঠেছেন। তাই বিজেপি তাঁকে নিয়ে খুশি।’
উল্লেখ্য, মমতা ইউপিএর অস্তিত্ব অস্বীকার করলেও বিষয়টি সুকৌশলে এড়িয়েছিলেন শরদ পাওয়ার নিজে। মমতার সঙ্গে বৈঠকের পর মারাঠা স্ট্রংম্যান বলেন, ‘বিজেপির বিরুদ্ধে শক্তিশালী বিকল্প তৈরি করাই তাঁর (মমতার) লক্ষ্য৷ সেই উদ্দেশ্য নিয়েই তিনি এসেছিলেন৷ সেই নিয়েই আলোচনা হয়েছে৷ কংগ্রেস হোক বা অন্য কোনও দল, যাঁরা বিজেপি বিরোধী, তাঁদের এক মঞ্চে আসা উচিত৷’ এই আবহে কংগ্রেসকে পিছনের সারিতে ফেলে মমতা জাতীয় রাজনীতিতে নিজেকে ফার্স্ট বেঞ্চে বসাতে পারেন কি না, সেটাই দেখার বিষয়।