থিয়েটার কমান্ড গঠন এবং এর কাজ ঠিকমতো হচ্ছে তা নিশ্চিত করতে মোট সময় লাগবে পাঁচ বছর। এবং তিন বাহিনীর থিয়েটার কমান্ড গঠনের পরিকল্পনায় যদি কোনও জটিলতা তৈরি হয়, তবে স্ট্যাটাস কুয়ো বা পুরোনো ব্যবস্থায় ফেরার জন্যেও থাকছে প্ল্যান বি। উল্লেখ্য, আমেরিকা এবং চিনে এই ধাঁচেই সামরিক বাহিনীর থিয়েটার গঠিত রয়েছে। তবে ভারতে এই ব্যবস্থা আনার প্রথমেই ধাক্কা খেতে হয়েছিল সেনা কে। বিভিন্ন সূত্রে দাবি করা হয়, বায়ুসেনা নাকি প্রাথমিক ভাবে এই কমান্ড গঠনের বিপক্ষে ছিল।
বিশেষজ্ঞদের মত, এই কমান্ড থিয়েটার গঠন করলেই হবে না। পাঁচ বছর ধরে এটিকে পর্যবেক্ষণে রেখে দেখতে হবে যাতে বাহিনীদের মধ্যে কোনও সমস্যা তৈরি হচ্ছে কি না। বা তা হলে যাতে পুরোনো ব্যবস্থায় ফেরা যায়, সেই প্ল্যান বি তৈরি রাখতে হবে। সেই মতো সেনার তরফে তৈরি রাখা হচ্ছে প্ল্যান বি। প্রথম পাঁচ বছর যদি নির্বিঘ্নে থিয়েটার কমান্ড কাজ চালিয়ে যেতে পারে, তাহেই এই ব্যবস্থাকে পাকাপাকি ভাবে গ্রহণ করা হবে। কিন্তু এই সময়ে সামরিক গঠনতন্ত্র যাতে নড়বড়ে না হয়, তা নজরে রাখতে হবে।
এর আগে হিন্দুস্তান টাইমস রিপোর্ট করে জানিয়েছিল যে এই থিয়েটার গঠনে পুরোপুরি সম্মত নয় বায়ুসেনা। যদিও পরবর্তীতে চিফ অফ ডিফেন্স স্টাফ জেনারেল বিপিন রাওয়াত দাবি করেন যে যেকোনও সংস্কারে কিছু বাধা বিপত্তি আসে, তবে থিয়েটার গঠনের ক্ষেত্রে সব বাহিনী সহমত পোষণ করছে।
জানা গিয়েছে প্রস্তাবিত থিয়েটার কমান্ডের দুটি নির্দিষ্টভাবে চিন ও পাকিস্তানকে কেন্দ্র করে গঠিত হবে। সেনাবাহিনীর কাজকর্ম আরও নিখুঁত ও সামঞ্জস্যপূর্ণ করার লক্ষ্যেই এই কমান্ড গঠন। সরকার চায়, স্থলসেনা, বায়ুসেনা ও নৌসেনার মধ্যে বোঝাপড়া যেন মসৃণ হয়। সেই লক্ষ্যেই এই নয়া কমান্ড তৈরি করতে চায় সরকার। চিনের বিরুদ্ধে সক্রিয় থাকবে 'নর্দার্ন থিয়েটার কমান্ড'। পাকিস্তানের বিরুদ্ধে ভারতীয় সেনার নতুন 'ওয়েস্টার্ন থিয়েটার কমান্ড'। এ ছাড়া থাকছে তৃতীয় থিয়েটার কম্যান্ড 'পেনিনস্যুলার কমান্ড'। চতুর্থটি পুরোপুরি বায়ুসেনার নিজস্ব থিয়েটার কমান্ড হবে। পঞ্চমটি পুরোপুরি নৌসেনা কমান্ড। এটি সম্পূর্ভাবে আন্দামান নিকোবর কেন্দ্রিক হবে।